টুকরো খবর

এক গৃহবধূকে পিটিয়ে মেরে তাঁকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে জীবনতলা থানার আড়াইবাঁকি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বধূর নাম আয়েশা মোল্লা (২৮)।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:২৮
Share:

গৃহবধূকে পিটিয়ে খুন, অভিযুক্ত শ্বশুরবাড়ি

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং

এক গৃহবধূকে পিটিয়ে মেরে তাঁকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে জীবনতলা থানার আড়াইবাঁকি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বধূর নাম আয়েশা মোল্লা (২৮)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর বারো আগে ক্যানিংয়ের সাতমুখীর দুমকি গ্রামের বাসিন্দা আশান মোল্লার মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় আড়াইবাঁকির জলিল মোল্লার। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই আয়েশার পরিবারের লোকজন তাঁর উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে। বৃহস্পতিবার দুপুরেও মারধর করা হয়। পাশের গ্রামে বাবাকে গিয়ে তিনি সে কথা জানান। কিন্তু মেয়ের সংসার ভেঙে যাওয়ার ভয়ে বাবা তখন তাঁকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে আবার শ্বশুরবাড়িতেই ফেরত পাঠান। এ দিন ভোরে তাঁর বাপের বাড়িতে ফোন আসে, আয়েশা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আয়েশার বাবা আশান কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, “বিয়ের পর থেকে ওরা আমার মেয়েকে এতটুকু শান্তিতে থাকতে দেয়নি। প্রায়ই অত্যাচার চলত। ছেলের বাড়ি থেকে যা যা দাবি করেছিল, সবই মিটিয়ে দিয়েছিলাম। তারপরেও ওরা মেয়েকে মেরে ফেলল।” থানায় ওই পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।

Advertisement

প্রতিবেশীকে খুন

নিজস্ব সংবাদদাতা • মন্দিরবাজার

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে প্রতিবেশীর ধারাল অস্ত্রের আঘাতে খুন হলেন এক ব্যক্তি। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মন্দিরবাজারের দাদপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে নিহতের নাম রবিউল ইসলাম হালদার ওরফে কালো (৪০)। তিনি দিনমজুরি করতেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে গণ্ডগোলও চলছিল। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ প্রতিবেশী ওই ব্যক্তি আরও তিন জনকে নিয়ে রবিউলের বাড়িতে চড়াও হয়। মৃতের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা বাধে। এর মধ্যে ওই ব্যক্তি আচমকা ধারাল অস্ত্র বের করে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে রবিউলকে। কাজ সেরে তারা সেখান থেকে পালায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, রবিউলের স্ত্রী সাজিদা বিবি ওই চার জনের বিরুদ্ধে থানায় খুনের মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত সকলেই পলাতক।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা • মথুরাপুর

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে মথুরাপুরের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দেবব্রত দাস (২৪)। কাকদ্বীপ এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ ওই গ্রামের কাছে হাইটেনশন লাইনের মেরামতির কাজ চলছিল। সে সময়ে আচমকা বিদ্যুৎ লাইনের তারে হাত লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ওই যুবক। গুরুতর অবস্থায় মথুরাপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।

ডাকাতি করতে এসে গণধোলাই

নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট

এক দুষ্কৃতীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাসনাবাদ থানা এলাকার ভবানীপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, নুর ইসলাম গাজি নামে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, রাত ২টো নাগাদ এ দিন নুর ও তার সঙ্গী এলাকার এক চাল ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢুকে মাথায় রিভলবার ঢুকিয়ে তাঁকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। প্রতিবাদ করলে ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর স্ত্রী, ছেলেকে মারধর করে বলেও অভিযোগ। এরপর বাড়ির থেকে নগদ টাকা-সহ কয়েক ভরি সোনার অলঙ্কার নিয়ে চম্পট দেয়। ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির লোকের চিৎকারে গ্রামবাসীরা তাদের ধাওয়া করা শুরু করে এবং দু’জনকেই ধরে ফেলে। একজন পালাতে সক্ষম হলেও ধরা পড়ে গিয়ে বেধড়ক মার খায় নুর। এ দিনই ওই ব্যবসায়ী ব্যবসার কাজের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে এনেছিলেন। পুলিশের অনুমান, সে খবর ছিল দুষ্কৃতীদের কাছে।

লুঠ হাড়োয়ায়

মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীকে অপহরণ করে তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা-গয়না লুঠ করে পালাল আর এক মহিলা ও তার এক পুরুষ সঙ্গী। বুধবার হাড়োয়ার শালিপুরের হরিপুর গ্রামে। কেউ গ্রেফতার হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন