বাঁধ ভেঙে প্লাবিত কঙ্কনদিঘির গ্রাম

মণিনদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে প্লাবিত হল বিস্তীর্ণ এলাকা। মঙ্গলবার বিকেলে রায়দিঘির কঙ্কনদিঘির মণ্ডলপাড়ায় নোনা জল ঢোকার ফলে প্রায় বিঘার পর বিঘা চাষের জমির ক্ষতি হয়েছে। সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ।

Advertisement

দিলীপ নস্কর

রায়দিঘি শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৭ ০২:০১
Share:

•তোড়: রায়দিঘিতে ঢুকছে জল। বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র

মণিনদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে প্লাবিত হল বিস্তীর্ণ এলাকা।

Advertisement

মঙ্গলবার বিকেলে রায়দিঘির কঙ্কনদিঘির মণ্ডলপাড়ায় নোনা জল ঢোকার ফলে প্রায় বিঘার পর বিঘা চাষের জমির ক্ষতি হয়েছে। সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ। গ্রামবাসীরা পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কোনও সুরাহা হয়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিডিও স্বাতী চক্রবর্তী। তাঁকে দেখে গ্রামবাসীরা ক্ষোভ দেখান। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, একাধিকবার পাকাপাকি ভাবে বাঁধ মেরামতের দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কিছুই হয়নি। ফলে বার বার চাষের জমির ক্ষতি হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে ফসল। বিডিও বাঁধ মেরামতের আশ্বাস দিলে গ্রামবাসীরা শান্ত হন। স্বাতীদেবী জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব্লক প্রশাসনের সূত্রে জানানো হয়েছে, আপাতত মাটি কাটার মেশিনের সাহায্যে বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাকাপাকি ভাবে বাঁধ মেরামত করার মতো টাকা নেই। সে কারণে বিষয়টি সেচ দফতরকে জানানো হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নদী-লাগোয়া একটি সরু খাল বয়ে গিয়েছে গ্রামের দিকে। ওই খাল ও নদী সংযোগে ছোট স্লু্ইস গেটটি অনেক দিন ধরেই অকেজো। এর আগেও বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে। গ্রামবাসীরা জানান, প্রত্যেক বর্ষায় প্লাবিত হয় এলাকা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বাড়ে। মাথায় হাত পড়ে চাষিদের। গতকাল বিকেলে অমাবস্যার ভরা কোটালের জোয়ারে ধীরে ধীরে নদীবাঁধ ভাঙতে শুরু করে। গ্রামের মহিলা পুরুষ সকলেই পলিথিন, ত্রিপল দিয়ে জল ঠেকাতে উঠেপড়ে লাগেন। শশা, উচ্ছে, বেগুন, লঙ্কা, টম্যাটো, ঢ্যাঁড়স চাষের ক্ষতি হয়। বোরো চাষেও ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকেরা জানান। বাসিন্দা সরস্বতী সর্দার, দীনেশ মণ্ডল, বাসুদেব সামন্তরা বলেন, ‘‘কংক্রিটের বাঁধের জন্য একাধিকবার প্রশাসনকে বলা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কিছুই করেনি। বার বার বাঁধ ভেঙে চাষের ক্ষতি হচ্ছে।’’ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পুতুল গায়েন বলেন, ‘‘রাতে খবর পাওয়ার পর বিডিও এবং জয়েন্ট বিডিও গিয়েছিলেন। জরুরি ভিত্তিতে তাড়াতাড়ি জল ঢোকা বন্ধ করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।’’ দ্রুত কংক্রিটের বাঁধ যাতে তৈরি করা হয় তার ব্যবস্থা করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন