প্রতীকী ছবি।
তোলাবাজদের টাকা দিতে চাননি তিনি। অন্য ব্যবসায়ীদেরও তোলা দিতে নিষেধ করেছিলেন। সবাই মিলে তোলাবাজদের বিরুদ্ধে গড়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন প্রতিরোধ। মথুরাপুরের সেই রমজান মোল্লাকে গুলি করে খুন করতে এসে রবিবার সন্ধ্যায় এলাকার মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ে গণপ্রহারে প্রাণ গেল দুই তোলাবাজের। গুলিবিদ্ রমজান এখন ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে। মোড়ে পুলিশের টহল চলছে। তবে এই ঘটনায় মথুরাপুরের লালপুর মোড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার এক দুষ্কৃতী দলবল নিয়ে মোড়ের দোকানগুলি থেকে তোলা আদায় করত। অনেকেই ভয়ে দাবি মতো তোলা দিয়েছিলেন। ইমারতি ব্যবসায়ী রমজান মোল্লার কাছেও ২ লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছিল দুষ্কতীরা। কিন্তু টাকা না দিয়ে উল্টে ব্যবসায়ীদের একজোট করে ওই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রমজান। গণস্বাক্ষর করে তোলাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগও করা হয়েছিল।
ব্যবসায়ীদের অনুমান, এর বদলা নিতে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ রায়দিঘির দিক থেকে অটোতে করে জনা ছ’য়েক দুষ্কৃতী রমজানের দোকানের সামনে আসে। অটো থেকে নেমে রমজানকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। দু’টি গুলি লাগে রমজানের ডান হাতে। রমজান মারা গিয়েছেন ভেবে অটোতে উঠে পালাতে যায় দুষ্কৃতীরা। এর মধ্যেই গুলির শব্দে চলে আসেন এলাকার মানুষ। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে দুষ্কৃতীরা বোমা ছুড়তে শুরু করে। প্রায় ৪০টি বোমা ছোড়ার পর তারা অটো নিয়ে ফের পালানোর চেষ্টা করে। তখনই জনতা তাদের ধাওয়া করে ধরে ফেলে। রায়দিঘির দিকে জলঘাটা কালভার্টের কাছে দু’জনকে ধরে পিটিয়ে মেরে ফেলে উত্তেজিত জনতা। অন্য দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। নিহত দুই যুবকের নাম পরিচয় এখনও জানাতে পারেনি পুলিশ।
সোমবার দুপুরে এলাকায় কোনও ব্যবসায়ী বা পথ চলতি মানুষ এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি। লালপুর মোড়ের কাছেই রমজানের বাড়ি। তার ভাই ইমরান মোল্লা ও মা গুলবাহার বেওয়ার বলেন, ‘‘নজরুল বৈদ্য নামের এক দুষ্কৃতী ও তার দলবল দু’বছর আগে তোলার টাকা না পেয়ে রমজানকে খুন করতে এসেছিল। এ বারও তারাই হামলা চালিয়েছে। আমরা নজরুল-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশকে জানিয়েছি।’’