ব্যারাকপুরের নির্মীয়মাণ পুলিশ ফাঁড়ি চত্বরে সেই গাঁজা গাছ। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।
যাতায়াতের পথে অনেকেই দেখছেন। যাঁরা জায়গা এবং গাছটি চেনেন, তাঁরা থমকে দাঁড়াচ্ছেন ক্ষণিকের জন্য। কেউ কেউ কিছু মন্তব্যও করছেন। অনেকে আবার অন্যদের ডেকে বলছেন, ‘‘দেখেছেন, থানা চত্বরে গাঁজার গাছ কেমন বাড়ছে!’’ ঘটনাস্থল ব্যারাকপুর।
তবে থানা নয়। যে চত্বরে গাঁজার গাছ অনেকের চোখ টানছে, সেটি পুলিশ ফাঁড়ি। ব্যারাকপুর স্টেশনের সামনে, সুকান্ত সদনের পাশে। হিসেব মতো ব্যারাকপুর পুলিশ ফাঁড়ি টিটাগড় থানার আওতায় পড়ে। সেই ফাঁড়ি থেকে আগে পাসপোর্ট আবেদনের নথি যাচাই-সহ কিছু রুটিন কাজ হত। বর্তমানে পুরনো ঘর ভেঙে ফাঁড়ির নতুন বাড়ি তৈরি হচ্ছে। সেখানেই বেড়ে উঠছে গাঁজার গাছটি। সেটি ফাঁড়ির পাঁচিল ছাড়িয়ে এতটাই বড় হয়েছে যে, সকলের চোখে পড়ছে।
পুরনো বাড়ি ভাঙার পরে, মাস ছয়েক আগে গাঁজার চারাগাছটি দেখা গিয়েছিল। অনুমান, নজর এড়িয়ে কেউ সেখানে গাঁজার বীজ ছড়িয়ে দিয়ে থাকতে পারেন। গাছটি দিন দিন বাড়ছে। অনেকেই তীর্যক মন্তব্য করছেন। এলাকার ব্যবসায়ীরাও বলছেন, ‘‘গাঁজা চাষ তো বেআইনি।’’
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, এত কিছু পুলিশের নজর এড়িয়ে যাচ্ছে কী ভাবে? আর গাছটি যদি তাদের চোখে পড়েই থাকে, তা হলে সেটি কেটে ফেলা হচ্ছে না কেন? ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (জোন ১) কে কান্নন শুধু বলেছেন, ‘‘বিষয়টি আমি এই শুনলাম। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’