—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল’কলেজে গণধর্ষণ মামলা চার্জগঠনের দিকে এগোল। ডিসেম্বরেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে আদালত সূত্রের খবর। ওই কলেজেরই ছাত্রনেতা (তথা অস্থায়ী কর্মী)-সহ চার অভিযুক্তের বুধবার আদালতে হাজিরা ছিল। আগামী ২৩ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ওই দিন চার অভিযুক্তকে সশরীরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পরবর্তী শুনানির জন্য এর পর এই মামলা আলিপুরের অতিরিক্ত দায়রা আদালতে পাঠানো হয়েছে। আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য জানান সেখানেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন কসবার দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজের ভিতরে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) নেতা তথা ওই কলেজের অস্থায়ী কর্মী এবং আরও দুই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় কলেজের এক নিরাপত্তারক্ষীকেও।
মূল অভিযুক্তের ভূমিকা ডিএনএ রিপোর্টে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে বলে গত সেপ্টেম্বরে আদালতে চার্জশিট পেশ করে দাবি করেছিল পুলিশ। কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী অফিসার মামলার চার্জশিটে দাবি করেন, নির্যাতিতার পোশাক থেকে সংগৃহীত রক্তের নমুনা এবং মূল অভিযুক্তের (তৃণমূলের ছাত্রনেতা) শরীরের রক্ত নমুনার ডিএনএ রিপোর্ট মিলে গিয়েছে। ধর্ষণের সময়ে মূল অভিযুক্তের গায়ে একাধিক ক্ষত সৃষ্টির কথাও তদন্তে উঠে আসে। মূল অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতা দু’জনেরই রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ। তা ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। ডিএনএ পরীক্ষায় ঘটনাস্থলে দু’জনের উপস্থিতিই প্রমাণ হচ্ছে বলে চার্জশিটে তদন্তকারীরা দাবি করেছেন। এ বার সেই চার্জশিটের ভিত্তিতেই চার্জ গঠন হতে চলেছে।