Murder

Canning Triple Murder: তিন জনকে খুন করে কী ভাবে কেরলে পাড়ি? পুনর্নির্মাণ-পর্বে পুলিশকে দেখাল ক্যানিংয়ের অভিযুক্ত

পুরনো শত্রুতার জেরে স্বপনকে আগেই খুনের পরিকল্পনা করেছিল রফিকুল। স্বপনকে লক্ষ্য করে গুলি চালান রফিকুল। খুন হন তাঁর দুই সঙ্গীও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২২ ১৬:১৮
Share:

অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ। — নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝি, ভূতনাথ প্রামাণিক এবং ঝন্টু হালদার নামে দুই বুথ সভাপতি-সহ মোট তিন জন গত ৭ জুলাই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে খুন হয়েছিলেন। বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। ওই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তকে সম্প্রতি কেরল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

বুধবার দুপুরে তিন তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দারকে নিয়ে ক্যানিংয়ের গোপালপুর পঞ্চায়েতের কচুয়া এলাকায় নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। অভিযুক্তের মুখ ঢাকা ছিল। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে ছিলেন বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পুষ্পাও। অভিযুক্তকে নিয়ে ওই এলাকার বিভিন্ন রাস্তা পরিদর্শন করেন তদন্তকারীরা। এর পর বেশ কয়েকটি জায়গা চিহ্নিতও করা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় রফিকুল অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরনো শত্রুতার জেরে স্বপনকে আগেই খুনের পরিকল্পনা করেছিল রফিকুল। এর পর রফিকুল-সহ চার জন বাইক চড়ে যায় গোপালপুর পঞ্চায়েতের কচুয়া এলাকায়। পুলিশের দাবি, প্রথমে চায়ের দোকানে অপেক্ষা করেন তাঁরা। এর পর তাঁরা অপেক্ষা করতে করতে চাষের জমিতেও নেমে পড়েন। এর মাঝেই স্বপনকে আসতে দেখে হত্যাকারীরা সতর্ক হয়ে যান। স্বপন খুব কাছে এলে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান রফিকুল। অভিযোগ, স্বপন গুলিবিদ্ধ হলে মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁকে কোপানো হয়। এই সময়েই স্বপনের দুই সঙ্গী ঝন্টু এবং ভূতনাথ পালানোর চেষ্টা করেন। তখন অন্য তাঁদের ধরে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় বলেও অভিযোগ।

Advertisement

তিন জনকে খুনের পর এফআইআরে নাম থাকা দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু গা ঢাকা দেন রফিকুল। রঙের মিস্ত্রি সেজে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন কেরলে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের সদস্যরা কেরলে রওনা দেন। গত বৃহস্পতিবার কেরলের কোঝিকোড় এলাকা থেকে তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ। এর পর ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয় রাজ্যে। পরে তাঁকে বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। ধৃত রফিকুলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় অভিযুক্ত নিজের দোষ কবুলও করেছেন। এর পর বুধবার তাঁকে নিয়ে ক্যানিংয়ের ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ। শুরু হয় খুনের পুননির্মাণ।

এ নিয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার বলেন, ‘‘ধৃতকে নিয়ে আজ ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। আরও কে কে জড়িত আছে, তা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন