Bangladesh Unrest

ব্যারাকপুরে চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী রবীন্দ্র, বললেন জীবনের ঝুঁকি নিয়েও আইনি সাহায্য দেবেন!

ব্যারাকপুরে এসে চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ বলেন “পালিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতে আসিনি। ২ জানুয়ারি ফের চিন্ময়কৃষ্ণকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম আদালতে যাব।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬
Share:

(বাঁ দিকে) রবীন্দ্র ঘোষ। সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের হয়ে চট্টগ্রাম আদালতে সওয়াল করবেন আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। সোমবার ব্যারাকপুরে এসে এমনটাই জানালেন তিনি। চিকিৎসার প্রয়োজনে ব্যারাকপুরে ছেলের কাছে এসেছেন তিনি। ব্যারাকপুর থেকে রবীন্দ্র বলেন, “আমি মরতে ভয় পাই না। আমি শুধু আইনজীবী নই, এক জন মানবাধিকার কর্মীও।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “পালিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতে আসিনি। ২ জানুয়ারি ফের চিন্ময়কৃষ্ণকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আদালতে যাব।”

Advertisement

রবীন্দ্রের পুত্র রাহুল ঘোষ আনন্দবাজার অনলাইনকে জানান, দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাড়ে চোট পেয়েছিলেন ওই আইনজীবী। অস্ত্রোপচারের পর রুটিন চেকআপের জন্যই রবীন্দ্র ভারতে এসেছেন বলে জানান রাহুল। এ পারে কোনও চিন্তা না-থাকলেও বাংলাদেশে বাবার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তার কথা জানান তিনি। রাহুল আরও জানান, ভারতে আসতে তাঁর বাবাকে পরিচিতেরা সাহায্য করেছেন।

আগামী ২ জানুয়ারি চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবীর জামিনের মামলার শুনানি রয়েছে চট্টগ্রাম আদালতে। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। খারিজ হয়ে যায় তাঁর জামিনের আবেদন। ডিসেম্বরের শুরুতে চিন্ময়কৃষ্ণের মামলাটি আদালতে উঠলেও নিজের পক্ষে কোনও আইনজীবীকে পাননি বাংলাদেশ ইসকনের প্রাক্তন সদস্য তথা সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র। তাঁর মামলাটি এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন সংক্রান্ত আবেদন নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে গিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্র। তিনি বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের চেয়ারম্যানও বটে। চট্টগ্রামের আদালতে মোট তিনটি আবেদন জানান তিনি। যে মামলায় চিন্ময়কে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই মামলায় তাঁর পক্ষে আইনজীবী হিসাবে লড়ার জন্য আবেদন করেন। পাশাপাশি, চিন্ময়ের জামিনের মামলাটির শুনানি এগিয়ে আনার আবেদনও করেন। কিন্তু হই হট্টগোলের জেরে মামলার শুনানিই হয়নি। অন্য আইনজীবীদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তোলেন রবীন্দ্র।

সেই সময় রবীন্দ্র বলেছিলেন, “চিন্ময়কৃষ্ণের হয়ে এখানকার কোনও আইনজীবী লড়তে চাইছেন না। আমি আবেদন করেছিলাম। বিচারক তা মঞ্জুর করতে চাইছিলেন। কিন্তু সে সময়ে আদালত কক্ষে শতাধিক আইনজীবী আমার বিরোধিতায় চিৎকার করতে থাকেন। আমার আবেদন না-মঞ্জুর হয়েছে।’’

উল্লেখ্য, চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করার পর থেকে বাংলাদেশের একাংশে অশান্তি ছড়ায়। চট্টগ্রাম, রংপুরের মতো এলাকায় গ্রেফতারির প্রতিবাদে এবং সন্ন্যাসীর মুক্তির দাবিতে পথে নামেন সংখ্যালঘুরা। বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতও, যার ফলে দুই দেশের সম্পর্কের বেশ কিছুটা অবনতি হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement