জখম: নিজস্ব চিত্র
জমি নিয়ে গোলমাল মেটাতে ডাকা হয়েছিল সালিশি। সমস্যার সমাধান তো দূর, সালিশি সভাতেই লাঠিসোঁটা, দা-কাটারি নিয়ে মারপিট বাধল দু’পক্ষের। জখম হয়েছেন ২৫ জন। ১৮ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। কয়েকজন শিশুও আছে। নাজামুল হক নামে এক ব্যক্তি আশঙ্কাজনক অবস্থায় বারাসতে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে স্বরূপনগরের পাখিপাড়ার এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জখমদের মধ্যে কয়েকজন শিশুও আছে। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। হাসপাতালে ভর্তি করার সময়েও দু’পক্ষের মারপিট হয়। হাসপাতালের টেবিল, চেয়ার লন্ডভন্ড করা হয়। বেসিন ভেঙে ফেলা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাখিপাড়ার বাসিন্দা ওবাইদুল হকের সঙ্গে একটি জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন বিবাদ চলছিল ওই এলাকারই আবদুল রউফ গাজির। তা নিয়ে একাধিক সালিশি সভাও হয়েছে। সুরাহা হয়নি। আগেও ঝুটঝামেলা বেধেছে বার কয়েক।
পুলিশ জানিয়েছে, এখন ওই জমির দখল রয়েছে ওবাইদুলের হাতে। মাসখানেক আগে হঠাৎ সরকারি নথি দেখিয়ে জমিটি তাঁর বলে দাবি করে বসেন আব্দুল। তা নিয়ে ফের উত্তেজনা বাড়ে দু’পক্ষের। সেই সমস্যা মেটাতেই গ্রামে সালিশি বসেছিল। ওবাইদুলের স্ত্রী মুমতাজ বিবি বলেন, ‘‘সালিশি সভা শেষের মুখে হঠাৎ আব্দুল ও তার সঙ্গীরা আমাদের চোখে বালি ছড়িয়ে বাঁশ, রড, দা নিয়ে চড়াও হল। শিশুদেরও মারধর করা হয়।’’ আব্দুলের পাল্টা দাবি, ‘‘গায়ের জোরে জমি দখল করেছিল ওবাইদুলেরা। প্রতিবাদ করায় চড়াও হয়।’’