সহপাঠিনীর ফোনে বিয়ে রোখা গেল কিশোরীর

ফোনের ও পার থেকে কিশোরীর কাতর কণ্ঠ। ‘‘আমার বন্ধু পড়তে চায়। ওকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। আপনারা কিছু একটা করুন।’’ বসিরহাট থানার কর্ত্যবরত ডিউটি অফিসারের কাছে ফোনটা আসে শুক্রবার দুপুরের দিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৬ ০১:৫৩
Share:

ফোনের ও পার থেকে কিশোরীর কাতর কণ্ঠ। ‘‘আমার বন্ধু পড়তে চায়। ওকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। আপনারা কিছু একটা করুন।’’

Advertisement

বসিরহাট থানার কর্ত্যবরত ডিউটি অফিসারের কাছে ফোনটা আসে শুক্রবার দুপুরের দিকে। পরিচয় দিতে রাজি না হওয়া মেয়েটি বলে, সে আর তার বন্ধু পড়ে অষ্টম শ্রেণিতে। বয়স মাত্র চোদ্দো। কিন্তু বাধ্য হয়ে বন্ধুকে বসতে হচ্ছে বিয়ের পিঁড়িতে। ‘‘এই বয়সে বিয়ে হয়ে গেলে পড়াশোনাটা আর চালাতে পারবে না ও’’— গলায় বিষাদ ঝরে পড়ে মেয়েটির।

ফোন পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। বিষয়টি জানানো হয় আইসি দেবাশিস চক্রবর্তীকে। ঠিকানা জেনে নেওয়া হয় পাত্রীর। খবর যায় বিডিও অফিসে। সকলের তৎপরতায় চাঁপাপুকুর পঞ্চায়েত এলাকায় ওই বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।

Advertisement

একই দিনে জেলা সমাজকল্যাণ দফতর মারফত বসিরহাট ১ বিডিওর কাছে খবর যায়, আরও দুই নাবালিকার বিয়ের তোড়জোড় চলছে। পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকেরা গিয়ে সেই বিয়েও বন্ধ করেছেন। তিন পাত্রই ‘ভুল’ স্বীকার করেছে। সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে জানিয়েছেন বাবা-মায়েরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement