হাসপাতাল নিয়ে কথা নেই, হতাশ  গোবরডাঙাবাসী

বারাসতে মঙ্গলবার গোবরডাঙার বন্ধ হাসপাতাল প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীও কোনও কথা তুললেন না। সভায় হাজির গোবরডাঙার ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান শঙ্কর দত্তও কিছু বলেননি। এই ঘটনায় হতাশ গোবরডাঙার মানুষ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোবরডাঙা  শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:০০
Share:

মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে এ বার গোবরডাঙার বন্ধ হাসপাতাল নিয়ে কোনও আলোচনা হল না!

Advertisement

বারাসতে মঙ্গলবার ওই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীও কোনও কথা তুললেন না। সভায় হাজির গোবরডাঙার ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান শঙ্কর দত্তও কিছু বলেননি। এই ঘটনায় হতাশ গোবরডাঙার মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘আশা করেছিলাম মুখ্যমন্ত্রী এ বার গোবরডাঙার হাসপাতাল নিয়ে কোনও বার্তা দেবেন। কিন্তু তা হল না। অথচ এলাকায় হাসপাতালটি খুব জরুরি।’’ কবে বন্ধ হাসপাতাল ফের পুরোপুরি চালু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই থাকতে হল পুরবাসীকে।

আগের বার ব্যারাকপুরের প্রশাসনকি সভাতে পুরপ্রধান সুভাষ দত্ত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বন্ধ হাসপাতালের বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘বলে দেবেন হাসপাতাল হবে না।’’ মুখ্যমন্ত্রীর এই কথা বলার পর চারদিকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। গোবরডাঙা পুর উন্নয়ন পরিষদের ডাকে এলাকায় বন্‌ধ পালন হয়। ওই বন্‌ধের পর দলীয় নির্দেশেই সুভাষবাবু পুরপ্রধানের পদ থেকে সরে যান। কিন্তু তিনি কারণ হিসেবে শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়েছিলেন।

Advertisement

পরে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে সুভাষবাবু দেখা করেন। তাতেই বরফ গলে। ফের পুরপ্রধান হিসাবে শপথ নেন সুভাষবাবু। কিন্তু হাসপাতালের দাবি মেটেনি।

এ দিন সভাতে সুভাষবাবু যাননি। তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান তাঁর ভাই শঙ্করবাবু সভাতে থাকলেও তিনি কোনও কথা বলেননি। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, কেন ওই প্রসঙ্গে কোনও কথা বললেন না শঙ্করবাবু?

শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে নতুন করে জানানোর কিছু নেই। তিনি সব জানেন। আমাদের আশা নির্দিষ্ট সময়ে তিনি হাসপাতাল নিয়ে পদক্ষেপ করবেন।’’ প্রসঙ্গত গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালটিতে এখন দিনের কিছুটা সময় কোনও রকমে বহির্বিভাগ খোলা থাকে। বহুদিন হল অন্তর্বিভাগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যন্ত্রপাতিগুলি সব পড়ে নষ্ট হচ্ছে। চিকিৎসক ও নার্স পাওয়া গেলে ফের তা চালু করা সম্ভব বলে স্থানীয় মানুষ মনে করেন। হাসপাতালটি জেলা পরিষদ পরিচালিত। জেলা পরিষদের তরফেও হাসপাতালের দায়িত্ব স্বাস্থ্য দফতরকে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন