চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
বেআইনি লগ্নি সংস্থায় টাকা রেখে লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ জন্য ঘটনাটিকে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ বলে ঘোষণা করার দাবি তুলল ‘অল বেঙ্গল চিটফান্ড ডিপোজিটার্স অ্যান্ড এজেন্ট ফোরাম।’
শনিবার বসিরহাটের রবীন্দ্রভবনে ফোরামের দ্বিতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ছিলেন ফোরামের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতির্ময় মণ্ডল, সম্পাদক গৌতম দত্ত প্রমুখ। ছ’দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলও বেরোয়।
ফোরামের পক্ষে জানানো হয়, দেশব্যাপী প্রায় ২২ হাজার চিটফান্ড ৩ লক্ষ কোটি টাকা লুঠ করেছে। ওড়িশা সরকার যেমন বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরতের জন্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, এ রাজ্যেও তেমন দাবি তুলেছে ফোরাম।
ফোরামের নেতৃত্বের দাবি, এজেন্টদের একটা বড় অংশ এ রাজ্যের প্রায় ৮শো চিটফান্ডে বিনিয়োগ করেছিলেন। তা ছাড়া, অন্য বিনিয়োগকারীরা তো আছেনই। কিন্তু টাকা ফেরত না পেয়ে এজেন্টদের উপরে যে ভাবে চাপের সৃষ্টি হচ্ছে, তা অকল্পনীয়। নানা অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। ৩ জন এজেন্টকে খুন করা হয়েছে বলেও তাঁদের অভিযোগ।
ইতিমধ্যে রাজ্যে ২৫৩ জন বিনিয়োগকারী এবং এজেন্ট আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করে জ্যোতির্ময়বাবু বলেন, ‘‘একাধিক অর্থলগ্নি সংস্থার পক্ষে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করা হলেও তদন্তকারী সংস্থাগুলির গড়িমসি এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দেওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে সমস্ত অর্থলগ্নি সংস্থাগুলিকে অবৈধ ঘোষণা করে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সরকার অধিগ্রহণ করুক। এবং তা বিক্রি করে সকলের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করুক।’’ যে সমস্ত এজেন্ট আত্মহত্যা করেছেন, তাঁদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিও তুলেছেন তাঁরা। তদন্তে টালবাহানার অভিযোগে সিবিআইকে দায়ী করে সিবিআই দফতরে অভিযান চালানো হতে পারে বলেও হুমকি দিয়েছেন জ্যোতির্ময়বাবু।