ছাত্রীকে মারধরের নালিশ দেগঙ্গার স্কুলে 

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। শনিবার পুলিশ স্কুলেও গিয়েছিল। তদন্তকারী পুলিশ অফিসার জানান, ছাত্রীকে যে চড় মারা হয়েছিল, স্কুল কর্তৃপক্ষ তা স্বীকার করেছেন।

Advertisement
দেগঙ্গা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৪২
Share:

আতঙ্কে: ছাত্রী। নিজস্ব চিত্র

ক্লাস চলাকালীন বইয়ে কলম দিয়ে দাগ কেটেছিল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। অভিযোগ, ওই অপরাধে স্কুলের শিক্ষক ওই ছাত্রীকে মারধর করেছেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা থানার চৌরাশি হাইস্কুলে। ছাত্রীর বাবা আমিনুল হক শুক্রবার দেগঙ্গা থানায় অভিযুক্ত শিক্ষক রঞ্জনকুমার বিশ্বাসের নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আনিশা পারভিন নামে ওই ছাত্রী এখন বারাসত জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। শনিবার পুলিশ স্কুলেও গিয়েছিল। তদন্তকারী পুলিশ অফিসার জানান, ছাত্রীকে যে চড় মারা হয়েছিল, স্কুল কর্তৃপক্ষ তা স্বীকার করেছেন।

Advertisement

বছর তেরোর আনিশা বলে, ‘‘আমি ক্লাসে মন দিয়েই স্যারের পড়া শুনছিলাম। শুধু ভুল করে বইতে একটা দাগ দিয়ে ফেলি। স্যার তা দেখতে পেয়ে আমায় চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন।’’

বিশ্বনাথপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তানিশাকে। সেখান থেকে তাকে নিয়ে বাড়ি আসেন বাবা। কিন্তু শুক্রবার ভোর রাত থেকে আনিশার শরীর খারাপ হতে থাকে। আমিনুল বলেন, ‘‘মেয়ের মুখ-গলা ফুলে উঠেছে।’’

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার প্রধান শিক্ষক আরশাদ আলি মোল্লা-সহ কয়েকজন শিক্ষক হাসপাতালে গিয়ে আনিশাকে দেখে এসেছেন। অভিযুক্ত বাংলার শিক্ষক রঞ্জনের সঙ্গে চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা যায়নি। বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। স্কুলে গিয়েও তাঁর দেখা মেলেনি।

প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘স্কুলে একটা ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এ ক্ষেত্রে একটা কথা বলব, বাড়িতে তো আমরা সন্তানদের শাসন করি। ছাত্রীরা তো আমাদের সন্তানের মতোই। শিক্ষক ও পড়ুয়া উভয়েই যাতে সম্মান নিয়ে স্কুলে আসতে পারেন, সেটা আমাদের দেখতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন