Coronavirus

Coronavirus: উত্তরে হাজার পেরোলো আক্রান্তের সংখ্যা, ঊর্ধ্বগতি দক্ষিণেও

করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও। গত সোমবার জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২২ জন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক সপ্তাহের মধ্যে করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনায়। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত সোমবার জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭৭ জন। এই সোমবার আক্রান্তের সংখ্যা ১০৫৭।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সংক্রমণ বাড়ায় ইতিমধ্যেই করোনা পরীক্ষার সংখা বাড়ানো হয়েছে। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, “জেলায় এখন দৈনিক ৭ হাজার করে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। শীঘ্রই দৈনিক ১০ হাজার পরীক্ষা করার পরিকল্পনা রয়েছে। করোনা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত আছে। হাসপাতালে শয্যা তৈরি আছে। তবে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের বেশিরভাগই বাড়িতে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালে আসছেন কম।” প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, জেলার চারটি হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির কাজ শেষ। আরও কয়েকটির কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। সাধারণ মানুষের একাংশের মধ্যে অবশ্য এখনও সচেতনতা ফেরেনি। সোমবারও অনেককেই মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরোতে দেখা যায়। বাজার হাটে দূরত্ব বিধি ভেঙে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। টোটো-অটোতে গাদাগাদি করে যাতায়াত করেছেন অনেকেই। এ দিন অবশ্য জেলা জুড়ে পুলিশি তৎপরতা দেখা গিয়েছে। রাস্তায় নেমে কোভিড বিধি মেনে চলার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে মানুষকে। মাস্ক বিলি করা হয়েছে বহু জায়গায়। দুপুর পর্যন্ত বনগাঁ থানার পুলিশ মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরোনোর অভিযোগে ১৪ জনকে, হাবড়া থানার পুলিশ ১০ জনকে, মছলন্দপুর ফাঁড়ির পুলিশ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। এখন থেকে মাস্কহীনদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও। গত সোমবার জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২২ জন। সেখানে এ দিন আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৮ জন। রবিবার আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়েছিল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ শুরু করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বিভিন্ন এলাকায় মাইকে প্রচার, মাস্ক বিতরণ শুরু হয়েছে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই জেলা জুড়ে ৫২টি এলাকায় কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হয়েছে। বাজার বন্ধ রাখা বা বিকল্প দিন ধার্য করে দোকান খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। জেলায় আটটি সেফ হোম খুলে দেওয়া হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে করোনা পরীক্ষার সংখ্যাও। অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, “আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত। মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিত করে কন্টেনমেন্ট জ়োন করা হচ্ছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন