অবশেষে উদ্যোগী পুলিশ
Coronavirus in West Bengal

ভেঙে ফেলা হল কোভিড বর্জ্য ঝাড়াই বাছাইয়ের ঠেক

গত দু’তিন মাস ধরে ভাঙড়ের ওই সমস্ত এলাকায় সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গে মিশে থাকা কোভিড বর্জ্য ঝাড়াই-বাছাই করে বাইরে বিক্রি করা হচ্ছিল। এলাকার মহিলাদের এই কাজে লাগানো হত। দৈনিক আড়াইশো টাকা রোজে গরিব মহিলারা কোনও সুরক্ষা ছাড়াই ওই কাজ করতেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

ভাঙড় শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:১৭
Share:

কোভিড বর্জ্য ঝাড়াই বাছাইয়ের ঠেক ভাঙতে পুলিশের অভিযান। ভাঙড়ে। ছবি: সামসুল হুদা

অবশেষে পুলিশের উদ্যোগে ভাঙা হল কোভিড বর্জ্য ঝাড়াই-বাছাইয়ের ঠেক। শনিবার সকালে ভাঙড়ের পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতের পাওয়ার গ্রিড সংলগ্ন নতুনহাট এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। ভেঙে ফেলা হয় একাধিক কোভিড বর্জ্য ঝাড়াই বাছাইয়ের ঠেক। শনিবার আনন্দবাজারে এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ-প্রশাসন। শনিবার সকালে কাশীপুর থানার পুলিশ অভিযান চালায়।

Advertisement

ভাঙড় ২ বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায় বলেন, ‘‘আমাদের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ আসে। সেই মতো সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হয়। তারপরেই পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ওই সমস্ত কোভিড বর্জ্য ঝাড়াই-বাছাইয়ের ঠেক ভেঙে দেওয়ার জন্য। বেশ কিছু ঠেক ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’’

গত দু’তিন মাস ধরে ভাঙড়ের ওই সমস্ত এলাকায় সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গে মিশে থাকা কোভিড বর্জ্য ঝাড়াই-বাছাই করে বাইরে বিক্রি করা হচ্ছিল। এলাকার মহিলাদের এই কাজে লাগানো হত। দৈনিক আড়াইশো টাকা রোজে গরিব মহিলারা কোনও সুরক্ষা ছাড়াই ওই কাজ করতেন। জনবহুল এলাকার মধ্যে সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গেই ডাঁই করে রাখা হত কোভিড বর্জ্য। ব্যবহৃত পিপিই কিট, মাস্ক, গ্লাভস আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ত বাতাসের সঙ্গে। যা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় এলাকার মানুষের মধ্যে।

Advertisement

অভিযোগ ওঠে, রাজারহাট থানার বিষ্ণুপুর এলাকার বাসিন্দা জনৈক দিলীপ ঘোষ শাসকদলের স্থানীয় কিছু নেতার মদতে ওই ধরনের কাজ করছিলেন। তিনি দমদম এয়ারপোর্ট থেকে বর্জ্য নিয়ে এসে ওই এলাকায় ঝাড়াই-বাছাই করাতেন। তার মধ্যেই মিশে থাকত পিপিই কিট, মাস্ক, গ্লাভস -সহ অন্যান্য কোভিড বর্জ্য।

এ দিন পুলিশ যেতেই কাজ ফেলে রেখে সকলে পালায়।পুলিশ জানিয়েছে যারা এই কারবারের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন