প্রতীকী ছবি।
বাগদার বাসিন্দা উনষাট বছরের এক ব্যক্তির করোনা পজিটিভ ধরা পড়ল। মঙ্গলবার দুপুরে পরীক্ষার রিপোর্ট ব্লক প্রশাসন এবং ব্লক স্বাস্থ্য দফতরে এসে পৌঁছয়। এরপরেই প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে তাঁকে দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্সে করে বারাসতের কোভিড হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। বাগদার বিডিও জ্যোতিপ্রকাশ হালদার বলেন, ‘‘বাগদার এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার এলাকা স্যানিটাইজ করা হবে।’’ জেলাপরিষদ সদস্য পরিতোষ সাহা বলেন, ‘‘করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি অসুস্থ ছিলেন। সম্প্রতি তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছিল।’’ যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতর পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা এলাকায় পরিদর্শন করেছেন।
করোনা আক্রান্ত হলেন কুলতলির এক ব্যক্তি। সপরিবার কলকাতায় থাকতেন তিনি। দিন কয়েক আগে এলাকায় ফেরেন। ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ১১ মে কুলতলি ব্লক হাসপাতালে তাঁর লালারস সংগ্রহ করা হয়। তারপর থেকে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রিপোর্ট এলে দেখা যায়, তিনি করোনা পজিটিভ। রিপোর্ট আসা মাত্রই হাসপাতালের তরফে তাঁকে বাড়ি থেকে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের লোকজনকে হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সন্দেশখালিতেও এক অ্যাম্বুল্যান্স চালক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রামপুর এলাকায় তাঁর বাড়ি। ১২ মে সন্দেশখালি থানার জেলিয়াখালির এক বাসিন্দার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসে। যাঁরা ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে এই অ্যাম্বুল্যান্স চালকও ছিলেন বলে জানতে পেরেছে স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসন। যুবকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৩ মে। ১৮ তারিখ দুপুরে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানতে পারেন, রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মঙ্গলবার বিকেলেই যুবককে বারাসতের কদম্বগাছির কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে। আক্রান্ত যুবকের পাড়াকে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা হিসাবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
সন্দেশখালি ২ ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক সঞ্জয়কুমার রায় বলেন, “এখনও পর্যন্ত আমরা জানতে পেরেছি, করোনা আক্রান্ত যুবকের সরাসরি সংস্পর্শে এসেছিলেন ১৩ জন। পরোক্ষ সংস্পর্শে এসেছেন আরও ৭ জন। সকলের দ্রুত নমুনা সংগ্রহ হবে। সকলকে এখন গৃহ নিভৃতবাসে থাকতে বলা হয়েছে।”