কুমির নিয়ে গেল মৎস্যজীবীকে

পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ ওই প্রৌঢ়ের নাম সহদেব জানা। তাঁর খোঁজ করতে গিয়ে পুলিশ ও বনদফতরের কর্মীরা নাজেহাল হন। দেহ উদ্ধারের জন্য জলপথে প্রায় তিন কিলোমিটার কুমিরটিকে ধাওয়া করতে হয়। যদিও রাত পর্যন্ত তাঁর দেহ মেলেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাথরপ্রতিমা শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৭ ০১:৫৩
Share:

প্রতীকী চিত্র।

মাছ ধরতে গিয়ে কুমির টেনে নিয়ে গেল এক মৎস্যজীবীকে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ ওই প্রৌঢ়ের নাম সহদেব জানা। তাঁর খোঁজ করতে গিয়ে পুলিশ ও বনদফতরের কর্মীরা নাজেহাল হন। দেহ উদ্ধারের জন্য জলপথে প্রায় তিন কিলোমিটার কুমিরটিকে ধাওয়া করতে হয়। যদিও রাত পর্যন্ত তাঁর দেহ মেলেনি।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ ওই দুর্ঘটনা ঘটে। পাথরপ্রতিমার এল প্লটে রাখালপুরের কাছে জগদ্দল নদীতে তখন জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন সহদেববাবু। সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন প্রতিবেশি। প্রায় কুড়ি ফুটের একটি বিশাল কুমির তাঁর পা কামড়ে ধরে। ওই অঞ্চলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রাজকুমার সাউ জানান, তখন ওঁর থেকে কিছুটা দূরে শঙ্কর পয়রা এবং তাপস বহর মাছ ধরছিলেন। আওয়াজ শুনে ঘুরে তাঁরা ওই দৃশ্য দেখেই ভয় পেয়ে যান। চিৎকার করতে থাকেন। সহদেববাবু বলছিলেন, ‘‘আমার হাত ধরে টান, কুমির পায়ে।’’ হাঁটু জলে পায়ে কামড় দিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই তাঁকে কিছুটা গভীরে টেনে নিয়ে যায় কুমিরটি। বাড়িতে ওই মৎস্যজীবীর স্ত্রী, ছেলে ও পুত্রবধূ রয়েছেন।

Advertisement

থানায় খবর গেলে, গোবর্ধনপুর থানার ওসি সমরেশ ঘোষ একটি নৌকো নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ছিলেন বন দফতরের কর্মীরাও। তাঁরা জানান, কুমিরটি তখনও দেহটি নিয়ে যেতে পারেনি। সহদেববাবুর দেহ তার জালে জড়িয়ে কুমিরের দেহের সঙ্গেও বেকায়দায় আটকে গিয়েছিল। তাই সেটি সরাসরি জলের তলায় যেতে পারছিল না। মাঝে মধ্যেই ভেসে উঠছিল জলের উপরে। রাখালপুর থেকে ধনচি জঙ্গলের দিকে বেশ খানিকটা সময় ধরে তার পিছু নেয় পুলিশ এবং বন কর্মীরা। জাল ও দড়ি দিয়ে কুমিরটিকে আটকে সহদেববাবুর দেহ উদ্ধারের চেষ্টা করে তাঁরা। তাঁদের একজন জানালেন, প্রায় তিন কিলোমিটার পর্যন্ত পথ কুমিরটিকে দেখা গিয়েছে, কিন্তু তিনঘণ্টা পর আর সেটির হদিশ পাওয়া যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন