Dacoity

‘ওরা মাথায় পিস্তল ধরে বলেছিল, শব্দ করলেই গুলি চালিয়ে দেব’

অনিমেষের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ বারান্দার কোলাপসিবল দরজার তালা ভেঙে জনা পাঁচেক লোক বাড়িতে ঢোকে। দু’জন বারান্দায় পাহারায় ছিল। তিনজন ঘরে এসে মুখে টর্চের আলো ফেলে ঘুম ভাঙায়। হাতে ছিল পিস্তল, দা, ছোরা। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বাগদা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:১১
Share:

আতঙ্ক: পরিবারে। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে গামছা দিয়ে পিছমোড়া করে বেঁধে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ডাকাতি হয়ে গেল বাগদায়।

Advertisement

মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বাগদার সিন্দ্রাণী পূর্বপাড়ায় অনিমেষ বিশ্বাসের বাড়িতে। তাঁর ছেলে আকাশ বলে, ‘‘ডাকাতেরা মাথায় পিস্তল ধরে বলেছিল, শব্দ করলেই গুলি চালিয়ে দেবে। খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।’’ আকাশের বোন, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী বর্ষা বলে, ‘‘আমি ঘুমোচ্ছিলাম। ঘুম ভেঙে উঠে দেখি, দাদার মাথায় বন্দুক ধরে ডাকাতেরা মায়ের কাছে চাবি চাইছে।’’স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনিমেষ কুয়েতের একটি হোটেলে কাজ করেন। সিন্দ্রাণীর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না, ছেলে আকাশ, মেয়ে বৃষ্টি ও মা বিনোদিনী থাকেন। অনিমেষ সম্প্রতি দেশে ফিরেছিলেন। অন্য কাজে কয়েক দিন আগে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ে। বিনোদিনীও এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন।

অনিমেষের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ বারান্দার কোলাপসিবল দরজার তালা ভেঙে জনা পাঁচেক লোক বাড়িতে ঢোকে। দু’জন বারান্দায় পাহারায় ছিল। তিনজন ঘরে এসে মুখে টর্চের আলো ফেলে ঘুম ভাঙায়। হাতে ছিল পিস্তল, দা, ছোরা।

Advertisement

একজন মশারির ভিতর থেকে আকাশকে বার করে এনে গামছা দিয়ে পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলে। তার মাথার দু’পাশে দু’টি পিস্তল চেপে ধরে একজন জ্যোৎস্নাকে বলে, আলমারির চাবি বার করে দিতে। না হলে ছেলেকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।

জ্যোৎস্না জানান, চাবি নিয়ে তাঁর শাশুড়ি বেড়াতে গিয়েছেন। তারপরে ডাকাতরা নিজেদের সঙ্গে আনা একটি যন্ত্রের সাহায্যে আলমারি ও শোকেসের তালা খুলে ফেলে। প্রায় ১০ ভরি সোনার গয়না, নগদ ৯৫ হাজার টাকা বের করে নেয় তারা। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে লুঠপাট চালিয়ে বাইরের দিক থেকে দরজার ছিটকিনি আটকে দিয়ে পালায়। যাওয়ার সময়ে হুমকি দিয়ে যায়, ‘‘চিৎকার করলে ফিরে এসে মেরে ফেলে দিয়ে যাব।’’

ডাকাতেরা চলে যাওয়ার পরে জ্যোৎস্নাদেবী ভিতর থেকে দরজা খুলতে না পেরে ছাদে উঠে প্রতিবেশীদের ডাকেন। পড়শি অপর্ণা দাস বলেন, ‘‘আমরা তখন জেগেই ছিলাম। জ্যোৎস্নার চিৎকারে বাইরে বেরোতে গিয়ে দেখি, আমাদের বাড়ির দরজাটা বাইরে থেকে শিকল টেনে বন্ধ করা। স্বামী টিনের চালার ফাঁক দিয়ে হাত গলিয়ে শিকল খোলেন।’’ একই অভিজ্ঞতা রিনা দাসের। তাঁরও বাড়ির দরজা বাইরে থেকে শিকল টেনে বন্ধ করা ছিল। প্রতিবেশীরাই ফোন করে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ আসে। বনগাঁর এসডিপিও অনিলকুমার রায় বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দুষ্কৃতীদের দ্রুত ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন