বেলঘরিয়ার বালকের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে দুঃসাহসিক ডাকাতি

ইফতার চলাকালীন ছেলের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটল বেলঘরিয়ার কামারহাটির এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। ঘটনায় কেউ আহত না হলেও নগদ ৮০ হাজার টাকা এবং কয়েক লক্ষ টাকার গয়না নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৫ ১১:৪২
Share:

লণ্ডভণ্ড ঘর। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।

ইফতার চলাকালীন ছেলের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটল বেলঘরিয়ার কামারহাটির এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। ঘটনায় কেউ আহত না হলেও নগদ ৮০ হাজার টাকা এবং কয়েক লক্ষ টাকার গয়না নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিয়েছে বলে অভিযোগ। তবে ঘটনার পরে ওই ব্যবসায়ী প্রথমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে একপ্রকার পুলিশের চাপেই তিনি বেলঘরিয়া থানায় ডাকাতির অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় ইফতার চলছিল সিরাজ আহমেদ নামে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে। তিনি পরিবহণ ব্যবসায়ী। বাড়ির দোতলায় সপরিবারে বসে ছিলেন তিনি। তখনই একতলার দরজার খুব জোরে একটা শব্দ পান সিরাজ। ন’বছরের ছেলেকে নীচে গিয়ে দেখতে বলেন। সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামার সময়ই তাঁর ছেলে দেখে ৬-৭ জনের একটি দল উপরে উঠে আসছে। তাদের প্রত্যেকের মুখই কালো কাপড়ে ঢাকা। হাতে আগ্নেয়াস্ত্র এবং ভোজালি রয়েছে। চিৎকার করে উঠলে তারা শিশুটির মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে দোতলায় উঠে আসে। ধমক দিয়ে সিরাজকে আলমারিতে যা আছে বের করে দিতে বলে। কোনও প্রতিবাদ না করে তিনি চাবি খুলে আলমারি থেকে নগদ টাকা এবং সোনা ও রুপোর গয়না দুষ্কৃতীদের বের করে দেন। সেগুলি নিয়ে তারা চম্পট দেয়।

সিরাজের বাড়ির খুব কাছেই কামারহাটি ফাঁড়ি। সেখানেও ওই সময়ে পুলিশের উদ্যোগে ইফতারের আয়োজন করা হয়েছিল। খবর পেয়ে সিরাজের বাড়িতে পুলিশ আসে। কিন্তু সিরাজ পুরো ব্যাপারটাই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁকে বেলঘরিয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান।

Advertisement

বাড়িতে ডাকাতির পরেও সিরাজ কেন ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীরা সিরাজের পরিচিত কিংবা ব্যবসায়িক কোনও শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন