dead body

Narendrapur: থাইয়ে গুলি, যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য নরেন্দ্রপুরে, তদন্তে পুলিশ

মিলন সংঘ এলাকায় একই বাড়িতে পাশাপাশি ঘরে তিন ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন ভোলা। দীর্ঘ দিন ধরেই বেকার তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নরেন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২২ ১৭:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে। রবিবার সকালে লস্করপুরের মিলন সংঘ এলাকায় নিজের ঘর থেকে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতের নাম ভোলা দাস (৩৭)। তদন্তকারীদের অনুমান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে যুবকের। তবে এটি খুন না কি আত্মহত্যা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। থাইয়ে গুলি লেগেছে। তবে এটা খুন নাকি আত্মহত্যা, তা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। যদিও পুলিসের প্রথিমিক অনুমান, আত্মহত্যা কিংবা দুর্ঘটনাবসত নিজের পায়ে গুলি চালিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ভোলাবাবুর।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মিলন সংঘ এলাকায় একই বাড়িতে পাশাপাশি ঘরে তিন ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন ভোলা। দীর্ঘ দিন ধরেই বেকার তিনি। স্ত্রী ও আট বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে তাঁর। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার ভোরে মৃতের এক ভাইপো শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য উঠেছিলেন। তখনই তিনি দেখেন, কাকা ভোলা অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে ঘরের ভিতর। মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই চিৎকার করে বাকিদের ডাকাডাকি করেন ওই ভাইপো। সেই সময় অবশ্য ভোলা স্ত্রী ও মেয়ে বাড়িতে ছিলেন না। যুবকের দেহ উদ্ধার হওয়ার পরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

তদন্তকারীরা জানান, ভোলার ঘর থেকেই একটি ওয়ান শটার বন্দুক আর গুলির খোল উদ্ধার হয়েছে। ঘরের জিনিসপত্রও অগোছালো ছিল। মৃতের ভাইয়েরা তদন্তকারীদের জানান, ঘরে গুলি চলার কোনও শব্দই তাঁরা পাননি।

Advertisement

পরিজন ও পড়শিদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, অনেক দিন ধরেই বেকার ছিলেন ভোলা। শ্বশুর বাড়ির টাকায় তাঁর ঘরের সংসার চলত। রোজগার না থাকায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তার থেকেই তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ঘটনার তদন্তে নেমেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। মৃতের ঘরটিকে সিল করে দেওয়া হচ্ছে। কী ভাবে যুবকের কাছে ওই আগ্নেয়াস্ত্র এল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা তদন্তকারীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন