New Barrackpore

চার শ্রমিকের ঝলসানো মৃতদেহ উদ্ধার হল নিউ ব্যারাকপুরের গেঞ্জি কারখানায়, ৫০ ঘণ্টা পর

মৃত চার শ্রমিকের নাম সুব্রত ঘোষ, তন্ময় ঘোষ, অমিত সেন এবং স্বরূপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার ভোরে আগুন লাগার সময় ভিতরে আটকে ছিলেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নিউ ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২১ ১১:৫৪
Share:

কারখানায় আগুন নেভানোর কাজ করছেন দমকলকর্মীরা। ফাইল ছবি।

উদ্ধার হল নিউ ব্যারাকপুরের গেঞ্জি কারখানার ভিতরে আটকে পড়া ৪ শ্রমিকের অগ্নিদগ্ধ দেহ। শনিবার সকালে আগুন আয়ত্তে আসার পর ভিতরে ঢোকে পুলিশ। তার পরই ওই শ্রমিকদের দেহ দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। দেহগুলি উদ্ধারের পর তাঁদের পরিবারের লোকেদের ডাকা হয়েছে দেহ শনাক্তকরণের জন্য। আগুন লাগার ৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর ওই শ্রমিকদের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হল।

Advertisement

জানা গিয়েছে, মৃত চার শ্রমিকের নাম সুব্রত ঘোষ (৩৫), তন্ময় ঘোষ (২৩), অমিত সেন (৩২) এবং স্বরূপ ঘোষ (৪২)। এরা সকলেই নদিয়া জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে আগুন লাগার পর থেকেই ভিতরে আটকে পড়েছিলেন তাঁরা। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নিভে যায়নি বলে জানিয়েছে দমকল। ওই কারখানার বিভিন্ন জায়গায় পকেট ফায়ার রয়েছে। এখানে ওখানে আগুনের ফুলকি দেখা যাচ্ছে বলেই দমকল সূত্রে খবর।

বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা জানিয়েছেন কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তাঁর খোজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ছেন পুলিশ কমিশনার।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ভোর রাতেই নিউ ব্যারাকপুরের তালবান্দার ওই গেঞ্জির কারখানায় আগুন লাগে। একটি তিনতলা বাড়ির ভিতরে রয়েছে ওই কারখানাটি। ওই বাড়িতেই একটি ওষুধের গুদাম এবং রঙের কারখানাও রয়েছে। দমকলবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, কারখানার ভিতর গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করা ছিল। এ ছাড়া ওষুধের গুদামে রাখা ছিল প্রচুর পরিমাণে স্যানিটাইজার। রঙের কারখানায় ডিজেলও রাখা ছিল। তা থেকেই দ্রুত আগুন ছড়িয়েছে বলে অনুমান দমকলের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন