বারাসতে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার

জানা গিয়েছে, ওই বাড়িটিতে বাবলার সঙ্গেই থাকতেন বেবি। সোমবার রাত থেকে দু’জনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। এলাকার লোকজন প্রকাশ্যে রাস্তায় তাঁদের বাদানুবাদ এমনকি হাতাহাতি করতেও দেখেন বলে দাবি। পরে অবশ্য তাঁরা বাড়ির ভিতরে চলে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৮ ০২:১১
Share:

প্রতীকী চিত্র।

ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার মৃতদেহ। মঙ্গলবার এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় বারাসতে। মৃতার নাম বেবি ভট্টাচার্য (৩৫)। সোমবার গভীর রাতে বারাসত থানা এলাকার রামকৃষ্ণপুরের একটি বাড়ি থেকে ওই বধূর দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। তবে বেবির মৃত্যু আত্মহত্যা না খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক বাবলা ভট্টাচার্যের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাড়িটিতে বাবলার সঙ্গেই থাকতেন বেবি। সোমবার রাত থেকে দু’জনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। এলাকার লোকজন প্রকাশ্যে রাস্তায় তাঁদের বাদানুবাদ এমনকি হাতাহাতি করতেও দেখেন বলে দাবি। পরে অবশ্য তাঁরা বাড়ির ভিতরে চলে যান।

গভীর রাতে বাড়ির ভিতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারাই।বারাসত থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘর থেকে বেবির দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য বারাসত হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে মৃতার শরীরে চোট-আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে দেহের পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল রাতের খাবার। তার মধ্যে বিষ মেশানো ছিল কিনা তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বেবির আগে বিয়ে হয়েছিল। তাঁর সন্তানও রয়েছে। তিনি বাবলার বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। সেই সূত্রেই পরবর্তী কালে বাবলার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সন্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা নিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রায়শই ঝামেলা লেগে থাকত। স্থানীয়দের দাবি, তাঁরাই মধ্যস্থতা করে কয়েক বার তা সামলেছেন।

তবে এলাকাবাসীর একাংশ জানান, ঘটনার রাতে প্রথমে বাবলাকে দেখা গেলেও দেহ উদ্ধারের সময় থেকেই তিনি নিরুদ্দেশ হয়ে যান। যে বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে ওই বাড়িরই উপরের তলায় সপরিবার থাকেন বাবলার দাদা। তবে এ দিন তাঁরা পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, ভাই বা বেবির সঙ্গে তাঁদের কোনও বাক্যালাপ ছিল না। বেবির মৃত্যু নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলেও তাঁরা কোনও কথা
বলতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন