Demonstration

ক্ষতিপূরণের দাবিতে  বিক্ষোভ স্বামীহারাদের

বাঘ-কুমিরের হানায় মৃতের পরিবারগুলিকে এককালীন সরকারি সাহায্য দেওয়ার দাবিতে এ বার পথে নামলেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মহিলারা। বুধবার গোসাবা বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। স্মারকলিপি দেওয়া হয়। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোসাবা  শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২০ ০১:২০
Share:

বিক্ষোভ কর্মসূচি। নিজস্ব চিত্র।

সুন্দরবনের নদী, খাঁড়িতে মাছ-কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘ, কুমিরের হামলায় প্রতি বছর প্রাণ হারান অনেকে। স্বামীহারা হন বহু মহিলা। অনেক পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যের খোঁজও মেলে না। এই পরিস্থিতিতে নানা সমস্যায় পড়েন স্ত্রী-পরিবার।

Advertisement

বাঘ-কুমিরের হানায় মৃতের পরিবারগুলিকে এককালীন সরকারি সাহায্য দেওয়ার দাবিতে এ বার পথে নামলেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মহিলারা। বুধবার গোসাবা বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

এ দিন শ’দুয়েক মহিলা ‘বাঘে-কুমিরে আক্রান্ত বিধবাদের কমিটি’র ব্যানারে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। জঙ্গলে মাছ-কাঁকড়া ধরতে যাওয়ার সরকারি অনুমতি না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের এই মহিলারা সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। আবার অনেক সময়ে বন দফতরের অনুমতি নিয়ে জঙ্গলে গিয়ে বিপদে পড়লেও পরিবার সরকারি সাহায্য পাচ্ছে না বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারী মহিলাদের। এককালীন ক্ষতিপূরণ, বিধবা ভাতা, সরকারি প্রকল্পের ঘর, বিকল্প কর্মসংস্থান-সহ নানা দাবি আছে তাঁদের।

Advertisement

কমিটির সভাপতি চন্দন মাইতি বলেন, “পেটের টানে এই সব মানুষজন প্রাণ হাতে নিয়ে মাছ-কাঁকড়া ধরতে যান। গোসাবা ব্লকেই প্রায় ৭০০ মহিলা রয়েছেন, যাঁদের স্বামী বাঘ বা কুমিরের পেটে গিয়েছেন। কিন্তু সরকার এঁদের নিয়ে কিছুই ভাবছে না। তাই পাঁচ দফা দাবি নিয়ে বিডিওর কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি।” দাবিগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে বলে গোসাবা ব্লক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন