ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি দেগঙ্গায়

কালবৈশাখীর ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বড় রকম ক্ষতির মুখে পড়লেন উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা ব্লকের নুননগর পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামের মানুষ। ফাজিলপুর, নুননগর, গোবিন্দপুর, খাঁপুর এবং আর্জিলাপুর-সহ কিছু এলাকায় গাছ ভেঙেছে। কারও টালির চাল ভেঙেছে। শিল পড়ে সব্জি ও ফসল নষ্ট হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দেগঙ্গা শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৫ ০১:১৪
Share:

ভেঙে পড়েছে বাড়ি-ঘর। —নিজস্ব চিত্র।

কালবৈশাখীর ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বড় রকম ক্ষতির মুখে পড়লেন উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা ব্লকের নুননগর পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামের মানুষ। ফাজিলপুর, নুননগর, গোবিন্দপুর, খাঁপুর এবং আর্জিলাপুর-সহ কিছু এলাকায় গাছ ভেঙেছে। কারও টালির চাল ভেঙেছে। শিল পড়ে সব্জি ও ফসল নষ্ট হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে ইটভাটার ব্যবসাতেও বড় রকম ক্ষতি হয়েছে। রবিবার বিকেলে এই ঘটনার পরে সোমবার ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলিতে যান বিডিও মানসকুমার মণ্ডল। আসেন কৃষিকর্তারাও। বিডিও বলেন, ‘‘ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে। গ্রামবাসীদের কী সাহায্যের প্রয়োজন, তা দ্রুত ঠিক করা হবে।’’

Advertisement

ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেলে ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিও শুরু হয়। বড় বড় শিল পড়তে থাকে। ফাজিলপুরের বাসিন্দা নজরুল হক এবং সহিদুল হকের বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সহিদুল বলেন, ‘‘বড় বড় শিল পড়ছিল। ঝড়ের প্রবল শব্দে বিপদের আশঙ্কা করে ছেলেমেয়েদের নিয়ে খাটের তলায় আশ্রয় নিয়েছিলাম বলেই প্রাণে বেঁচে গিয়েছি।’’ গোবিন্দপুর গ্রামের রাম ঘোষ, বৃন্দাবন ঘোষ এবং গোবিন্দ ঘোষ-সহ কয়েক জনের বাড়ির উপরে গাছ ভেঙে পড়ায় টালির চাল ভেঙেছে। ঝড়ের দাপটে অনেকের টিনের চাল উঠে গেছে। ঝড়ের ফলে বেশ কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়তে দেখা যায় এ দিন।

গ্রামের মানুষ জানান, শিলা বৃষ্টির ফলে মাচার সব্জি, গম, তিল এবং পেঁপে চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। বৃষ্টির জলে ভিজে যাওয়ায় ভাটার কাঁচা ইট সব ধুয়ে গিয়েছে।

Advertisement

গাছ থেকে পড়ে মৃত্যু। আমগাছ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার নুননগর পঞ্চায়েতের খেজুরডাঙা গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সাহাবুদ্দিন বিশ্বাস (৩২)। ওই দিন সকাল ৮টা নাগাদ বাড়ির কাছে আমগাছে উঠে কীটনাশক ছড়াচ্ছিলেন সাহাবুদ্দিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন