Bhangar

ভাঙড়ে পোড়া নথি আসলে বিহার সরকারের! তদন্তের পর জানালেন গোয়েন্দারা, কী ভাবে এল বাংলায়?

ওই সরকারি অডিটের কাগজপত্র নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা রয়েছেন, শুরু হয়েছে খোঁজখবর। ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এক তৃণমূল নেতাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাঙড়  শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:১১
Share:

মঙ্গলবার সকালে ভাঙড়ের আন্দুল গড়িয়া এলাকায় পাঁচিল দিয়ে ঘেরা একটি মাঠের মধ্যে বেশ কিছু নথিপত্র পুড়তে দেখা যায়। —নিজস্ব চিত্র।

ভাঙড়ে পুড়িয়ে ফেলা নথি আসলে বিহার সরকারের। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই জানতে পারছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। কিন্তু সেগুলো যে কী ভাবে বাংলায় এল? এ নিয়ে ধন্দে গোয়েন্দারা। চলছে তদন্ত।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে ভাঙড়ের আন্দুল গড়িয়া এলাকায় পাঁচিল দিয়ে ঘেরা একটি মাঠের মধ্যে বেশ কিছু নথিপত্র পুড়তে দেখা যায়। ওই কাণ্ডে সিবিআই জমিমালিক হিসাবে তলব করে রাকেশ রায়চৌধুরী নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে। অন্য দিকে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উত্তাল বাংলায় নথি পোড়ানোর ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর শুরু হয় নানা জল্পনা। শুরু হয় খোঁজখবর।

সিবিআই সূত্রে খবর, যে নথিগুলো পোড়ানো হচ্ছিল, সেগুলো বিহার সরকারের কৃষি এবং মৎস্য দফতরের নথিপত্র। এ-ও জানা যাচ্ছে, নথিগুলো ২০০৮ এবং ২০১০ সালের। ওই সরকারি অডিটের কাগজপত্র নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা রয়েছেন, শুরু হয়েছে খোঁজখবর। তা ছাড়া বিহার থেকে এই নথি কী ভাবে সুদূর ভাঙড়ে এল, সেটাও বড় প্রশ্ন।

Advertisement

এই ঘটনায় এলাকার দুই তৃণমূল নেতা রাকেশ রায়চৌধুরী এবং গৌতম মণ্ডলকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু গৌতম কলকাতায় থাকায় ভাঙড়ে থাকা আধিকারিকদের কাছে উপস্থিত হতে পারেনি। রাকেশের সঙ্গে অবশ্য বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেছেন গোয়েন্দারা।

যে জায়গায় নথিগুলো পুড়ছিল, সেই জমির মালিক ছিলেন জনৈক রাজেশ সিংহ। বিহারের বাসিন্দা রাজেশের কাছ থেকে ওই জমি কেনেন প্রোমোটিং ব্যবসায়ী এবং তৃণমূল নেতা গৌতম। পরে তাঁর কাছ থেকে একাধিক ব্যক্তি ওই জমি কিনেছেন বলে তদন্তকারীদের সূত্রের খবর। এখন নথিদাহ-রহস্যের জট ছাড়ানোর কাজ করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement