কুকুর-কাণ্ডে রিপোর্ট তলব দিল্লি থেকে

কুকুর মারা এবং সোমাদেবীকে মারধরে অভিযুক্তদের কেউ গ্রেফতার হয়নি। এ বার সেই ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:১৯
Share:

সোমা গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র

কুকুর পিটিয়ে মারার ঘটনার জল গড়াল দিল্লি পর্যন্ত।

Advertisement

গত শুক্রবার দুপুরে ব্যারাকপুরের পানপাড়ার একটি মা কুকুরকে পিটিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে দিন কয়েক ধরে সরগরম এলাকা। ঘটনার প্রতিবাদ করে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ায় অভিযুক্তদের হাতে তাঁকে প্রহৃত হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সোমা গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক বাসিন্দা।

এ দিকে, কুকুর মারা এবং সোমাদেবীকে মারধরে অভিযুক্তদের কেউ গ্রেফতার হয়নি। এ বার সেই ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ফের চড়াও হন সোমাদেবীর বাড়িতে। তাঁকে ফের হুমকি দেওয়া হয়। সোমাদেবীর দাবি, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় অভিযুক্তেরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

Advertisement

এর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে হইচই হলে স্থানীয় পশুপ্রেমী সংগঠন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে। ঘটনাটি জানিয়ে সংগঠনের এক সদস্য নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মেনকা গাঁধীকে ই-মেল করে বিষয়টি জানান। এ দিন পুলিশ প্রশাসনের তরফে রিপোর্ট তলবের বিষয়টি স্বীকার করা হয়েছে। আজ, শুক্রবার সোমাদেবীরা ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (জোন-১) কে কারনানের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে। সোদপুরের পশুপ্রেমী সুব্রত দাস জানিয়েছেন, তিনি পুরো বিষয়টি মেনকা গাঁধীর মন্ত্রকে ই-মেল করে জানান। তারই প্রেক্ষিতে কে কারনানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে সুব্রতবাবুকে।

কে কারনান বলেন, ‘‘মেনকা গাঁধীর মন্ত্রক থেকে চিঠি দেখেছি। সেটি টিটাগড় থানায় পাঠিয়ে পুরো ঘটনা তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলে তা দিল্লিতে পাঠানো হবে।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, কী ঘটেছিল এবং কী ব্যবস্থা পুলিশ নিয়েছে, তা বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে মন্ত্রক থেকে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘থানা থেকে রিপোর্ট পেলে তবেই এ বিষয়ে বলতে পারব।’’

বৃহস্পতিবার বিকেলে ফের এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা সোমাদেবীর বাড়ি ঘেরাও করে হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ করা হয়। আরও অভিযোগ, খবর পেয়ে দীর্ঘক্ষণ পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আইনজীবীরা জানান, সোমাদেবীকে মারধরের ঘটনায় জামিন অযোগ্য ৩৫৪ ধারায় মামলা হওয়া উচিত ছিল। তা হয়েছে কি না জানা যায়নি। মেনকা গাঁধীর অফিসে রিপোর্ট পাঠানোর সময়ে তা জানা যাবে বলে মনে করছেন সোমাদেবীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন