North 24 Pargana

Deganga: কেন কন্যাসন্তান? দেগঙ্গায় বধূকে রাস্তায় ফেলে মার স্বামীর! থানায় অভিযোগ

বধূর অভিযোগ, পণ চেয়ে আগে মারধর করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কন্যাসন্তানের জন্মের পর অত্যাচার বেড়ে যায় কয়েক গুণ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দেগঙ্গা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২২ ১৫:২৩
Share:

কেন কন্যাসন্তান? দেগঙ্গায় বধূকে রাস্তায় ফেলে মার স্বামীর! থানায় অভিযোগ প্রতীকী চিত্র।

কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় স্ত্রীকে বাড়ির বাইরে বার করে মারধরের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। সন্তান এবং নিজের প্রাণ বাঁচাতে ওই বধূ থানার দ্বারস্থ হলেন। লিখিত অভিযোগ করেছেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৭-য় দেগঙ্গার কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা গোবিন্দ আইচ এবং সোনালি আইচের বিয়ে হয়। ওই দম্পতির ৪ বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। সোনালি অভিযোগে পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর বাবা-মা নেই। দাদা বিয়ে দিয়েছিলেন। পাত্রপক্ষের দাবি মেনে কিছু নগদ টাকা এবং সোনার গয়না যৌতুক দেন দাদা। কিন্তু তার পরেও পণের দাবিতে তাঁকে প্রায়শই শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সম্প্রতি একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। তার পর অত্যাচারের পরিমাণ আরও বেড়ে যায় বলে অভিযোগ।

পুলিশের কাছে করা অভিযোগে সোনালি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তাঁকে মারতে মারতে ঘরছাড়া করেন স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পাশের রাস্তার উপরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান স্বামী। এতে হাত-পা কেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিন মাসের শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা বধূ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বধূর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

এ বিষয়ে ওই বধূর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কোনও প্রতিক্রিয়া এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন