‘মহাবিদ্যা’ নাটকের মুহূর্ত। —নিজস্ব চিত্র।
গোবরডাঙা পুর টাউনহলে তৃতীয় বর্ষ ‘আত্মজন নাট্যোৎসব’ অনুষ্ঠিত হল গত ১৫ ও ১৬ নভেম্বর। পরিচালনায় ‘বাবুপাড়া আত্মজ নাট্য সংস্থা’। এই আয়োজনে অংশ নিয়েছিল একাধিক নাট্য সংগঠন। দু’দিন ব্যাপী আয়োজনে মোট ৭টি নাটক মঞ্চস্থ হয়।
অনুষ্ঠানের সূচনা করেন গোবরডাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কার ভারতীর উত্তর ২৪ পরগনা শাখার সম্পাদিকা সুপ্রীতি নাথ, নাট্যব্যক্তিত্ব আশিস দাস, পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমির সদস্য অজিত সরকার, নাট্য ব্যক্তিত্ব আশিস চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। ‘অনিমা চক্রবর্তী স্মৃতি আত্মজন সম্মান’-এ সম্মানিত করা হয় অভিনেত্রী মৌসুমী রায় ও সৌমিত্র বসুকে।
প্রথম দিন তিনটি ও দ্বিতীয় দিনে চারটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। প্রথম দিনে নাটকের তালিকায় ছিল বাটানগর ঋক নাট্য সংস্থার ‘জটিলেশ্বর’, রঘুনাথগঞ্জ থিয়েটার গ্রুপের ‘ঘরে ফেরা’ ও গোবরডাঙা আকাঙ্ক্ষা নাট্য সংস্থার ‘স্পোর্টস ম্যান’। দ্বিতীয় দিনে ছিল পাণ্ডুয়া চক্রবাক নাট্যপীঠের ‘ইতি অনির্বাণ’, সোদপুর অন্তরদীপন সোসাইটির ‘পান্থপাখি’, ক্যালকাটা টুইস্টের ‘চোখে আঙুল দাদা’ ও বাবুপাড়া আত্মজ নাট্য সংস্থার ‘মহাবিদ্যা’।
এই নাটক মনোজ মিত্রের লেখা। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এই নাটক আজও প্রাসঙ্গিক। তাপস দাসের পরিচালনায় এই নাটক দর্শকদের ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে। অভিনেতাদের ভূমিকাও প্রশংসনীয়। রাজার চরিত্রে বাসুদেব মুখোপাধ্যায়, দেওয়ানের চরিত্রে তিলক মুখোপাধ্যায়, কোতোয়ালের চরিত্রে অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়, সান্ত্রীর চরিত্রে জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়, তুলসীদাস ধাঙড়ের চরিত্রে তাপস ও গৌরহরির চরিত্রে তাপসকুমার পালের অভিনয় সকলকে হাসানোর পাশাপাশি ভাবিয়েওছে। নাটকটির মঞ্চসজ্জা ও শব্দ প্রক্ষেপণের দায়িত্বে ছিলেন শান্তনু দাস। আলোক সম্পাত করেছেন সুজয় পাল। বর্তমান সময়ে বাংলা সংস্কৃতির ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায় সুস্থ সাংস্কৃতিক চিন্তাভাবনার প্রসার ঘটাতে ‘বাবুপাড়া আত্মজ নাট্য সংস্থা’-র প্রচেষ্টা যথেষ্ট প্রশংসনীয়।