গোড়ায় গলদ, অল্প বৃষ্টিতেই ভাসল রাস্তা

দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল হয়ে রয়েছে বারাসত-টাকি রোড। দু’বছরেও শেষ হয়নি রাস্তা সম্প্রসারণের প্রথম পর্যায়ের কাজ। এলাকাবাসী জানান, বেলিয়াঘাটা বাজারের দু’ধারে নিকাশি নালা না থাকায় বর্ষায় ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করাই দায় হয়ে উঠত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৯ ০২:০২
Share:

খন্দপথ: জলে ভরা বড় বড় গর্ত এড়িয়েই নিত্য যাতায়াত। মঙ্গলবার, দেগঙ্গার বেলিয়াঘাটা বাজারে টাকি রোডে। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়

পাকা নর্দমা না থাকায় বর্ষাকালে জল-কাদায় যাতায়াতের অগম্য হয়ে উঠত রাস্তা। তাই রাস্তা সম্প্রসারণের সময়ে বাসিন্দারা দাবি জানিয়েছিলেন, আগে নর্দমা তৈরি করে তবেই সেই কাজ হোক। দাবি মেনে বারাসত-টাকি রোডের পাশে যেখানে বাজার রয়েছে, সেখানে রাস্তার দু’ধারে পাকা নর্দমা তৈরিও হয়। কিন্তু বৃষ্টিতে জল জমলে তা কোথা দিয়ে সেই নর্দমায় গিয়ে পড়বে বা নর্দমা থেকে বেরোবে, তার ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলত, দু’দিনের বৃষ্টিতেই ওই রাস্তায় দাঁড়িয়ে গিয়েছে জল। তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গাড়িচালক থেকে পথচারীরা। ছবিটা দেগঙ্গার বেলিয়াঘাটা বাজারের।

Advertisement

বস্তুত, দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল হয়ে রয়েছে বারাসত-টাকি রোড। দু’বছরেও শেষ হয়নি রাস্তা সম্প্রসারণের প্রথম পর্যায়ের কাজ। এলাকাবাসী জানান, বেলিয়াঘাটা বাজারের দু’ধারে নিকাশি নালা না থাকায় বর্ষায় ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করাই দায় হয়ে উঠত। সমস্যা সমাধানে উত্তর ২৪ পরগনা পূর্ত দফতর সম্প্রতি রাস্তার দু’পাশে পাকা নর্দমা তৈরি করে। অথচ, নর্দমা থেকে জল বেরোনোর পথ তৈরি করা হয়নি!

বেলিয়াঘাটা বাজারে বিদ্যাধরী সেতুতে ওঠার মুখে দেখা গেল, রাস্তা জুড়ে হাঁ করে আছে গর্ত। শাকিল আহমেদ নামে এক স্কুলপড়ুয়া বলে, ‘‘মাঝেমধ্যেই গর্তে গাড়ির চাকা পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। সাইকেল নিয়ে স্কুলে যেতে ভয় লাগে।’’ বাজারের এক ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের কথায়, ‘‘সামনে ইদ বলে ভিড় বাড়ছে। কিন্তু কাদাজল মাড়িয়েই চলাফেরা করতে হচ্ছে সকলকে।’’

Advertisement

আগুপিছু না ভেবেই নর্দমা তৈরি করা হল কেন? জেলা পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই রাস্তার বিভিন্ন অংশে সম্প্রসারণের কাজ চলছে। যেখানে যেখানে জমা জলের সমস্যা রয়েছে, সেগুলি ঠিক করে দেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন