BSF

BSF: বিএসএফের কড়াকড়ির জেরে সীমান্তে সমস্যা চাষে

সীমান্তে কাঁটাতারের বাইরে জমিতে চাষ করতে যেতে সমস্যায় পড়েছেন কিছু চাষি। পটলে ফুল ছোঁয়ানোর কাজ বন্ধ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২২ ০৮:১৪
Share:

রুদ্ধ: আটকে রাখা হয়েছে গেট। নিজস্ব চিত্র নিজস্ব চিত্র

বিএসএফের কড়াকড়ির জেরে সীমান্তে সমস্যা চাষে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতাবনগাঁ

সীমান্তে কাঁটাতারের বাইরে জমিতে চাষ করতে যেতে সমস্যায় পড়েছেন কিছু চাষি। পটলে ফুল ছোঁয়ানোর কাজ বন্ধ। আনাজ তুলে দ্রুত হাটে-বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন না চাষিরা। সব মিলিয়ে আনাজ চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে সমাধান চেয়ে বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ার দ্বারস্থ হয়েছেন চাষিরা।

Advertisement

ঘটনাটি বনগাঁ ব্লকের চড়ুইগাছি এলাকার। রবি ও সোমবার গ্রামে গিয়ে চাষিদের সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক। সোমবার তিনি বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে বিধায়ক বলেন, ‘‘সীমান্তের কাঁটাতারে থাকা ৮ ও ১০ নম্বর গেট দু’টি বন্ধ। চাষ করতে সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। বিএসএফের সঙ্গে কথা হয়েছে, তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন এক সপ্তাহের মধ্যে গেট দু’টি খুলে দেবেন তাঁরা।’’

চাষিরা জানিয়েছেন, চড়ুইগাছি এবং সংলগ্ন এলাকার অনেক চাষির সীমান্তে কাঁটাতারের বাইরে কয়েকশো বিঘে জমি আছে। বিএসএফের অনুমতি নিয়ে খেতে গিয়ে জমির পরিচর্যা করেন তাঁরা। চাষিরা জানালেন, রোজ সকালে বিএসএফের কাছে আধার কার্ড এন্ট্রি করিয়ে তাঁরা ভিতরে যেতেন। কয়েক মাস ধরে বিএসএফ আধার কার্ড এন্ট্রি করানো বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে কৃষি কাজে ক্ষতি হচ্ছে। দীপা মণ্ডল নামে এক মহিলার কথায়, ‘‘কাঁটাতারের বাইরে আমাদের ৫ বিঘে জমি আছে। স্বামী চাষ করেন। গেট বন্ধ বলে কৃষি কাজ বন্ধ রেখে তিনি সেন্টারিংয়ের কাজ করছেন। গেট বন্ধ থাকায় ২ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে খেতে যেতে হয়। আমরা চাইছি, দ্রুত গেটগুলি খুলে দেওয়া হোক।’’ দীপঙ্কর বিশ্বাস নামে এক চাষির কথায়, ‘‘গেট বন্ধ থাকায় ঘুরপথে যাতায়াত করতে গিয়ে আনাজ তুলে হাটে যেতে বেলা ১২টা বেজে যায়। তখন পাইকারি বাজার শেষ হয়ে যায়। ফলে চাষিরা আনাজ চাষ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।’’

কেন চাষিদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না?

স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিএসএফ চোরাচালান বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ করেছে। কিছুদিন আগে এক চাষিকে সোনার বিস্কুট-সহ আটক করেছিল। তারপর থেকেই কড়াকড়ি বেড়েছে। বনগাঁর পুরপ্রধান গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।’’

বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এসএস গুলেরিয়া বলেন, “বিএসএফের জন্য কৃষকদের কোনও অসুবিধা হবে না। খুব শীঘ্রই ওই গেট দু’টি খুলে দেওয়া হবে। এলাকার কৃষকেরা বিএসএফকে এই সমস্যার কথা আগে জানাননি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন