—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বছরের শুরু থেকে চলতি মাস পর্যন্ত ডেঙ্গি সংক্রমণের তেমন খবর ছিল না। এক জনই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে খবর মিলেছিল। কিন্তু দিনকয়েক আগে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ এক কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনা চিন্তায় ফেলেছে দমদম পুর কর্তাদের। গত শনিবার তপসিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় দমদম পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সারণি বন্দ্যোপাধ্যায়ের (১৩)।
ওই কিশোরী কোথায় সংক্রমিত হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুরসভার দাবি, তার বাড়ি বা আশপাশে কোথাও ডেঙ্গিবাহী মশার লার্ভা মেলেনি। স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি মিতা চট্টোপাধ্যায় আগেই জানান, তাঁর ওয়ার্ডে অতীতে বা চলতি বছরেও ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা যায়নি। তা সত্ত্বেও সারণির মৃত্যুর ঘটনার পরে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে, বিশেষত, কোথাও জল জমে আছে কিনা, তা জানতে নজরদারিতে জোর বাড়িয়েছে দমদম পুরসভা। পুরকর্তাদের একাংশের কথায়, পুর এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ এখনও পর্যন্ত সে ভাবে দেখা যায়নি। অথচ, তার মধ্যেই ওই কিশোরীর মৃত্যু ঘটেছে। মশার উৎস সন্ধানে তাই জোর বাড়ানো হচ্ছে।
স্থানীয়দের একাংশের মতে, বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহ এবং সচেতনতার প্রচারে বিশেষ জোর দেওয়া দরকার। এক পুরকর্তা জানান, বছরের গোড়া থেকেই ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে লাগাতার কাজ করা হচ্ছে। এলাকায় যাতে জল না জমে, সে দিকে যেমন নজর দেওয়া হয়েছে, তেমনই আবর্জনা যাতে না জমে, তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে বৈঠক করে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে কী কী করণীয়, সে সম্পর্কে তাঁদের সচেতন করা হয়েছে। যদিও বাসিন্দাদের একাংশের মতে, বাজার এলাকা, নিচু জমি, পরিত্যক্ত বাড়ি, গুদাম, নির্মীয়মাণ বাড়ি এবং বহুতলের দিকে বাড়তি নজর দেওয়া দরকার।
দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, বছরের শুরু থেকেই ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। মৃত কিশোরীর বাড়ির এলাকা-সহ বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করা হচ্ছে মশার সন্ধানে। কিন্তু মশার উৎস সে ভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। তবু যাতে রোগের প্রকোপ কোনও ভাবেই না বাড়ে, তার জন্য বিশেষ ভাবে তৎপর রয়েছেন দমদম পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে