Dead pet

পোষ্যের দেহ কাঁধে থানায়

মফিজুলের দাদা জাকির হোসেন এ দিন বলেন, ‘‘বেশ কিছু বছর আগে একই ঘটনা ঘটেছিল আমাদের বাড়িতে। পাঁচটি কুকুরকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার কিছু দিন পরে পুলিশের পোশাক পরে জনা বারো দুষ্কৃতী আমাদের বাড়িতে ডাকাতি করতে আসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৮ ২৩:৫৮
Share:

মৃত্যু: পোষ্যের দেহ নিয়ে

সোমবার সকাল। মৃত পোষ্যের দেহ কাঁধে নিয়ে সটান থানায় হাজির ব্যবসায়ী। অভিযোগ, রবিবার রাতে তাঁর বাড়ির তিনটি পোষা কুকুরকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। আরও অভিযোগ, একই ভাবে কয়েক বছর আগে ওই বাড়ির পাঁচটি কুকুরকে মেরে ফেলা হয়েছিল। তার ক’দিন পরেই ডাকাতি হয় সেই বাড়িতে। গুলি-বোমার আঘাতে জখম হন পরিবারের দু’জন। এমন অভিযোগের পরে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, দেগঙ্গার ভাসলিয়ার ব্যবসায়ী মফিজুল হকের বাড়িতে রবিবার রাতে তাঁদের পোষা পাঁচটি কুকুর প্রচণ্ড ডাকাডাকি করছিল। মফিজুল বলেন, ‘‘আমরা উঠে কিছুই দেখতে না পেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে উঠে তিন জায়গা থেকে তিনটি কুকুরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।’’ কী ভাবে পোষ্যের মৃত্যু হল, তার কারণ জানতে বাড়িতে পশু চিকিৎসক ডেকে আনেন মফিজুল। চিকিৎসক জানিয়ে দেন, তীব্র বিষক্রিয়াই মৃত্যুর কারণ। মফিজুলের দাদা জাকির হোসেন এ দিন বলেন, ‘‘বেশ কিছু বছর আগে একই ঘটনা ঘটেছিল আমাদের বাড়িতে। পাঁচটি কুকুরকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার কিছু দিন পরে পুলিশের পোশাক পরে জনা বারো দুষ্কৃতী আমাদের বাড়িতে ডাকাতি করতে আসে। নগদ তিরিশ হাজার টাকা ও সোনার গয়না, আমাদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক ও গুলি নিয়ে যায়। বাধা দিতে গেলে আমার ভাইকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। গুলি করা হয় বাবার পিঠে।’’ তেমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে কুকুরের দেহ কাঁধেই এ দিন থানায় হাজির হন মফিজুল। গোটা ঘটনা শুনে তাঁর বাড়িতে যায় পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement