Fake Office In Diamond Harbour

ডায়মন্ড হারবারে এক ছাদের তলায় ইডি, সিবিআই, এনসিবি! গ্রেফতার পাঁচ, পুলিশ বলল, ‘স্পেশ্যাল ২৬’

অভিযোগ, সিবিআই, ইডি-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসার সেজে প্রতারণার জাল বিছানো হয়েছিল সেখানে। অফিস খুলে ভুয়ো লোগো, ব্যাজ়, পরিচয়পত্র তৈরি হত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৫ ২০:৩১
Share:

প্রতারণাচক্রের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

সুদূর নয়ডা থেকে কলকাতা, ভুয়ো থানা খোলার অভিযোগ উঠেছিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ানো বিভাস অধিকারীর বিরুদ্ধে। এ বার বিভাসকাণ্ডের ‘ছায়া’ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে। অভিযোগ, সিবিআই, ইডি-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার সেজে প্রতারণার জাল বিছানো হয়েছিল সেখানে। অফিস খুলে ভুয়ো লোগো, ব্যাজ়, পরিচয়পত্র তৈরি হত। সরকারি লোগোও নকল করা হত। আর ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা তোলা হত। অবশেষে ওই প্রতারণাচক্রের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, সিবিআই, ইডি এবং নারকোটিক ব্যুরো (এনসিবি)-র নকল অফিস খুলে ব্যবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতেন কয়েক জন। তাঁদের ‘অফিস’ ছিল ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাড়িতে। সেখানে সাইনবোর্ডে লেখা ‘সোশ্যাল লিগাল ক্রাইম ইনফরমেশন’, ‘এসআইসিআই ক্রাইম ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশন।’

পুরো ঘটনায় তাজ্জব পুলিশও। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার মিতুনকুমার দে একটি হিন্দি সিনেমার তুলনা টেনে বলেন, “পুরো ঘটনাটি একেবারে ‘স্পেশ্যাল ২৬’-এর মতো সাজানো হয়েছিল। নকল শংসাপত্র, নকল আইডি কার্ড ব্যবহার করে ভয় দেখিয়ে টাকা তুলছিল ওরা।” তিনি জানান, ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু ভুয়ো নথি উদ্ধার হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বেশ কয়েক জন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন যে, কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছিল ওই চক্র।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, এই প্রতারণাচক্রের মূল মাথা কলকাতার বাসিন্দা ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়। ব্যবসায়ীরাই ছিলেন ‘টার্গেট।’ প্রথমে নানা রকম ভয় দেখানো হত। পরে ভুয়ো তদন্ত ও নথির অজুহাতে টাকা আদায় করা হত। পুলিশের একাধিক দল একযোগে অভিযান চালিয়ে ওই প্রতারণাচক্রের বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে। ‘সিল’ করা হয়েছে ভুয়ো কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের অফিস।

উল্লেখ্য, নয়ডায় ভুয়ো থানা খুলে গ্রেফতার হন বিভাস অধিকারী ও তাঁর পুত্র অর্ঘ্য অধিকারী। ওই ‘থানা’র পোশাকি নাম ছিল ‘ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ অ্যান্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন।’ বেলেঘাটায় একটি বিল্ডিংয়ের বাইরেও তেমন সাইনবোর্ড চোখে পড়েছিল স্থানীয়দের। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃতেরা দাবি করতেন, তাঁদের ব্রিটেনেও অফিস রয়েছে। ইন্টারপোল এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে তাঁদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement