চাষিরা পাচ্ছেন মাত্র ২ টাকা

দক্ষিণ বারাসত, বহড়ু, জয়নগর-সহ সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে সবেদার চাষ হয়। বহড়ুর কাছে হাছিমপুর এলাকায় সবেদার মরসুমে বড় হাট বসে। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে চাষিরা সবেদা নিয়ে আসেন।

Advertisement

সমীরণ দাস

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৭:১০
Share:

বাছাই: বাজারে যাওয়ার আগে। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল

কোথাও ২০ টাকায় তিনটে আবার কোথাও বা জোড়া ১৫ টাকা— মোটামুটি এই দরেই এখন সবেদা মিলছে বাজারে। অর্থাৎ ফল প্রতি দাম পড়ছে প্রায় ৭-৮ টাকা। অথচ দাম পাচ্ছেন না চাষি। তাঁরা জানালেন, প্রতি পিসের জন্য ১-২ টাকার বেশি পাচ্ছেন না তাঁরা।

Advertisement

দক্ষিণ বারাসত, বহড়ু, জয়নগর-সহ সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে সবেদার চাষ হয়। বহড়ুর কাছে হাছিমপুর এলাকায় সবেদার মরসুমে বড় হাট বসে। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে চাষিরা সবেদা নিয়ে আসেন।

সেখান থেকে পাইকারি দরে কিনে নেন ব্যবসায়ীরা। তারপর তা চলে যায় কলকাতায়। সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন বাজারে। এমনকী, পঞ্জাব, হরিয়ানার মতো ভিনরাজ্যেও সরবরাহ হয় এখানকার সবেদা। সাধারণত কাঁচা অবস্থাতেই সবেদা বিক্রি করে চাষিরা। তা কৃত্রিম উপায়ে পাকিয়ে বাক্সবন্দি করা হয়। তারপরে সরবরাহ হয় অন্যত্র। সেখান থেকে আবার একাধিক হাত ঘুরে খোলা বাজারে পৌঁছয় সবেদা। এ ভাবেই দাম বেড়ে যায় অনেকগুণ। যেগুলি কলকাতা বা রাজ্যের বাইরে রফতানি হচ্ছে, সেগুলি আরও বেশি হাত ঘুরে যায়। ফলে দাম বাড়ে আরও কিছুটা। স্থানীয় পাইকারি ব্যবসায়ী আফতারুদ্দিন জানালেন, সবেদা পরিষ্কার করে প্যাকিং করা পর্যন্ত তাঁদের দায়িত্ব। সেই খাতে একটা খরচ হয়। তারপরে পরিবহণের খরচ আছে।

Advertisement

কিন্তু তাতেও সাত-আট গুণ দাম বেড়ে যাওয়ার কথা নয়। যাঁরা বিক্রি করছে তাঁদের হাতে যদি সরাসরি সবেদা পৌঁছে দেওয়া যেত, তা হলেও দাম নিয়ন্ত্রণে থাকত। মাঝখানে আরও কয়েক হাত ঘুরেই দাম বেড়ে যায়।

সামান্য দাম পেয়ে চাষের খরচ কী ভাবে সামাল দিচ্ছেন চাষিরা?

আমির হোসেন নামে এক চাষির কথায়, ‘‘ফসল বেচে আমাদের আয় তেমন হচ্ছে না। কিন্তু প্রশাসন উদ্যোগী হলে মানুষ আরও কম দামে ফল খেতে পারেন। আমাদের লাভের অঙ্কটাও বাড়বে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement