Canning Covid Hospital

ক্যানিং কোভিড হাসপাতালে বিষধর সাপের আতঙ্ক

প্রায় আট মাস আগে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের অধীনে ক্যানিং স্টেডিয়ামে চালু হয় অস্থায়ী কোভিড হাসপাতাল।

Advertisement

প্রসেনজিৎ সাহা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২০ ০৫:৫৪
Share:

হাসপাতাল থেকে উদ্ধার সাপ। নিজস্ব চিত্র

এ বার সাপের আতঙ্ক ছড়াল ক্যানিং কোভিড হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার সকালে এই হাসপাতাল চত্বর থেকে বেশ কিছু সাপের খোলস উদ্ধার হয়েছে। একটি ছোট কেউটে সাপকেও উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

প্রায় আট মাস আগে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের অধীনে ক্যানিং স্টেডিয়ামে চালু হয় অস্থায়ী কোভিড হাসপাতাল। স্টেডিয়ামের গ্যালারির নীচের ঘরগুলিতেই মূলত রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই ঘরগুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে সেই সময় এখান থেকে বেশ কিছু বিষধর ও বিষহীন সাপ উদ্ধার করেছিলেন ক্যানিং যুক্তিবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার কর্মীরা। তারপর থেকে সব ঠিকই ছিল। সাপের উপদ্রব কমাতে নিয়মিত হাসপাতাল চত্বরে ব্লিচিং ছড়ানো হয়। কিন্তু এ দিন সকালে হাসপাতালের কর্মীরা দেখেন হাসপাতাল চত্বরে একটি কেউটে সাপের বাচ্চা ঘোরাঘুরি করছে। যুক্তিবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার কর্মীদের খবর দেওয়া হলে দুই কর্মী সেখানে গিয়ে সাপটিকে ধরে ফেলে। হাসপাতাল চত্বর থেকে বেশ কিছু সাপের খোলসও উদ্ধার করেন তাঁরা। সংস্থার কর্মীদের দাবি, “অনেকগুলি সাপের খোলস পাওয়া গিয়েছে। আমাদের অনুমান, আরও কিছু সাপ এখানে আছে। দ্বিতীয়ত, সদ্যোজাত কেউটে সাপ মিলেছে এখানে। এই ধরনের আর সদ্যোজাত কেউটে সাপ এখানে আরও থাকতে পারে। পাশাপাশি বড় সাপগুলিও এই হাসপাতাল চত্বরেই রয়েছে বলে আমাদের অনুমান।”

ক্যানিং কোভিড হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক সমরেন্দ্র রায় বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের কর্মীরা সজাগ রয়েছেন। এই চত্বরে আর কোনও সাপ থাকলে সেগুলিকে ধরে অন্যত্র ছেড়ে দেওয়া হবে।” তবে হাসপাতাল চত্বর থেকে বিষধর কেউটে উদ্ধার হওয়ায় যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন এখানে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত রোগীরা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন