তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে উত্তপ্ত হল হাড়োয়ার শালিপুল পঞ্চায়েতের সায়েদের বাজার।
শনিবার রাতে এই ঘটনায় এলাকায় কিছু দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বোমাও মারা হয়েছে বলে জানান এলাকার বাসিন্দারা। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় আহত হয়েছেন দু’পক্ষের চারজন। দু’জন হাড়োয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ হাড়োয়া সেতুর কাছে তৃণমূলের দু’পক্ষ একে অপরকে মারধর করে। শুরু হয় বোমাবাজি। এই ঘটনার জেরে হাড়োয়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দোকানপাট বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা পালান। ঘটনাস্থলে হাড়োয়া থানার পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, খালেদ মোল্লা হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি। মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডলের স্বামী হলেন মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল। তিনিও তৃণমূল নেতা হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। গন্ডগোল এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ কোন গোষ্ঠী থেকে হবে, তা নিয়েই গন্ডগোল বাধে। তৃণমূল সূত্রের খবর, সম্প্রতি হাড়োয়ার দুই নেতার লোকজনদের মধ্যে বিবাদ চরমে উঠেছে। তারই জেরে গত তিন দিন ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় গন্ডগোল হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রাতে হাড়োয়ার শালিপুর পঞ্চায়েতের সায়েদের বাজারে গন্ডগোল বাধে। ওই সময়ে দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। এক গোষ্ঠীর কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, অন্য গোষ্ঠীর লোকেরা মিছিল করে সেখানে এসে বোমাবাজি শুরু করে। এই ঘটনায় রমজান মোল্লা, জামাদ আলি-সহ উভয়পক্ষের চারজন আহত হন। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী রমজান মোল্লা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ব্রিগেড সমাবেশের জন্য হাড়োয়ায় দলের এক গোষ্ঠীর ডাকা প্রস্তুতি সভায় বিষয়টি নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে রাজি হয়নি জেলা নেতৃত্ব। তবে দুই পক্ষকেই মধ্যমগ্রাম অফিসেও ডাকা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।