বিধায়ক দেবেশ মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলছেন নিখোঁজ ব্যক্তির স্ত্রী অনিলা। নিজস্ব চিত্র
সুন্দরবনের খাঁড়িতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন হিঙ্গলগঞ্জের বাজার-সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা অমল মণ্ডল। ঘটনার পরে ছ’দিন কেটে গেলেও খোঁজ মেলেনি তাঁর।
ওই মৎসজীবীর আত্মীয়েরা এক থানা থেকে অন্য থানায় ছুটতে ছুটতে হয়রান হচ্ছেন বলে অভিযোগ। পুলিশের পক্ষে নিখোঁজ ডাইরি নেওয়া হলেও এখনও অমলবাবুর খোঁজ নেই। তাঁকে বাঘে ধরেছে, নাকি তিনি খুন হয়েছেন— সে বিষয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। শনিবার ওই মৎসজীবীর বাড়িতে যান হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী অনিলা এবং সন্তান সুরজিৎকে নিয়ে সংসার অমলবাবুর। ৪ নভেম্বর এলাকার চারজনের সঙ্গে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন তিনি। ১০ নভেম্বর বাকিরা বাড়ি ফিরলেও আসেননি অমল। কী ভাবে তিনি নিখোঁজ হলেন, তা নিয়ে সঙ্গীদের কাছ থেকে সদুত্তর মেলেনি বলে দাবি পরিবারের। তাঁরা জানান, রাতে জঙ্গলের খাঁড়িতে নোঙর করেছিল নৌকো। সকালে উটে সকলে দেখেন, সেখানে অমল নেই। তাঁরা খোঁজ করলেও লাভ হয়নি বলে দাবি ওই সঙ্গীদের।
এই পরিস্থিতিতে বন দফতর কিংবা হেমনগর উপকূলবর্তী থানায় তাঁরা কিছু জানাননি বলে দাবি পুলিশের।
অমলবাবুর ছেলে বলেন, ‘‘কী ভাবে বাবা নিখোঁজ হলেন, তা নিয়ে ওঁর সঙ্গীরা কেউ ঠিক মতো উত্তর দিচ্ছেন না। হিঙ্গলগঞ্জ বা হেমনগর থানা অভিযোগ না নেওয়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার চিমটা উপকূলবর্তী থানায় গিয়েছিলাম।’’ স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে মাঝে মধ্যেই জ্ঞান হারাচ্ছেন অনিলাদেবী। তাঁর দাবি, স্বামীকে খুন করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। অমলবাবুর চার সঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী ভাবে ওই মৎস্যজীবী নিখোঁজ হলেন, দ্রুত তা জানা যাবে।