Sundarbans

Sundarbans: সুন্দরবনে বনকর্মীদের বিরুদ্ধে মৎস্যজীবীদের মারধরের অভিযোগ, তদন্তে বন দফতর

সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা তাপস দাস জানিয়েছেন, ইঞ্জিনচালিত মাছ ধরার নৌকা নিয়ে সংরক্ষিত এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জয়নগর শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:৪৬
Share:

জয়নগর হাসপাতালে চিকিৎসার পরে কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৎস্যজীবীরা।

সুন্দরবনের জঙ্গলে মাছ-কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বনকর্মীদের হাতে মৎস্যজীবীরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, বৈধ অনুমতি পত্র (বিএলসি পাস) থাকা সত্ত্বেও বনকর্মীরা তাঁদেরকে মারধর করেছেন। কিন্তু নিয়ম ভেঙে কেন মৎস্যজীবীরা ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে সংরক্ষিত অঞ্চলে ঢুকেছিলেন তা নিয়েও উঠেছে পাল্টা প্রশ্ন।

ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবনের নেতিধোপানী জঙ্গলের কাছে। আক্রান্ত মৎস্যজীবীরা ফিরে এসে জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আহত মৎস্যজীবী নারায়ণ হালদার এবং শঙ্কর হালদার কুলতলির দক্ষিণ গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। জঙ্গলের যে এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ সেখানে মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয় না।

Advertisement

সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা (ফিল্ড ডিরেক্টর) তাপস দাস জানিয়েছেন, ইঞ্জিনচালিত মাছ ধরার নৌকা নিয়ে সংরক্ষিত এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ। মৎস্যজীবীদের মারধরের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগের কথা শুনেই আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত শেষ হলে পুরো ঘটনা জানা যাবে এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বনকর্মীরা সব সময়ই মৎস্যজীবীদের সঙ্গে সহযোগিতা করে বন এবং বন্যপ্রাণ রক্ষার কাজ করেন।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ থেকে কয়েক জন মৎস্যজীবী বিএলসি নিয়ে যন্ত্রচালিত নৌকায় জঙ্গলে মাছ-কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু আচমকা নৌকার ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যায়। এর পর নৌকা ঠিক করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি মৎস্যজীবীদের। রাতের অন্ধকারে ভাসতে ভাসতে নৌকা ঢুকে পড়ে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধীন লতিদোয়ানি জঙ্গলের কাছে। টহলদার বনকর্মীরা এসে সে সময় তাঁদের মারধর করেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

মারধরের ফলে এক মৎস্যজীবীর হাতের আঙুল ভাঙে। অন্য জনের বুকে চোট লাগে। এর পর তাঁরা গ্রামে ফিরলে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে কুলতলি থানায় গিয়ে বনকর্মীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত মৎস্যজীবীরা। কিন্তু বন দফতরের নিয়ম অনুযায়ী ইঞ্জিনচালিত নৌকার বিএলসি পাওয়ারই কথা নয়। কেবল দাঁড় টানা নৌকাকেই মাছ-কাঁকড়া ধরার অনুমতি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে এক বনকর্মী বলেন, ‘‘অসাধু মৎস্যজীবীদের অনেকেই বিএলসি নেওয়ার সময় ইঞ্জিনটি খুলে রেখে বন দফতরে আসেন। তার পর জঙ্গলে ঢোকার আগে ইঞ্জিন বসিয়ে নেন নৌকায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন