Bangladeshi Arrested

পরিচয় গোপন করে এক বছর ধরে সোনারপুরে বসবাস, পুলিশের জালে পাঁচ বাংলাদেশি

জানা গিয়েছে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সোনারপুরের বৈকুন্ঠপুর এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন ওই পাঁচ জন। তাঁরা একটি পোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:০৯
Share:

সোনারপুরে পুলিশের জালে পাঁচ বাংলাদেশি। —প্রতীকী চিত্র।

সোনারপুর থেকে গ্রেফতার করা হল পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে। সোমবার ধৃতদের পেশ করা হয়েছে বারুইপুর আদালতে। রবিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোনারপুর থানার বৈকুণ্ঠপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। কী ভাবে এবং কী কারণে তাঁরা এখানে এসেছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সোনারপুরের বৈকুণ্ঠপুর এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন ওই পাঁচ জন। তাঁরা একটি পোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, বেআইনি ভাবে তাঁরা ভারতে থাকছিলেন। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁদের সে ভাবে মেলামেশা ছিল না। ফলে তাঁদের সম্পর্কে স্থানীয়েরা কেউই খুব একটা কিছু জানেন না। পাঁচ বাংলাদেশি যে বাড়িতে থাকতেন, সেই বাড়ির মালিক পলাতক। তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

ধৃত পাঁচ জনের নাম তুষার আহমেদ, ইসমাইল হোসেন, সামিদুল ইসলাম, মহম্মদ শামিম এবং মহম্মদ জলিল৷ এই পাঁচ জনের মধ্যে চার জন বৈধ ভাবে ভারতে এলেও জলিল অবৈধ ভাবে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে৷ উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সীমান্ত দিয়ে তাঁরা এ দেশে প্রবেশ করেছন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ৷ ধৃতদের মধ্যে জলিল ভারতে এসে জাল আধার কার্ড তৈরি করান। বাকি চার জনের ‘ট্যুরিস্ট ভিসা’র মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তাঁরা ভারতেই রয়ে যান।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বাড়ি বাংলাদেশের ঢাকা, কুষ্ঠিয়া, বরিশাল এবং লক্ষ্মীপুরে। ধৃতদের মধ্যে এক জনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশেও অভিযোগ রয়েছে। প্রত্যেকের কাছ থেকেই পাওয়া গিয়েছে বাংলাদেশের সিম কার্ড ৷ সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের জুলাই মাস নাগাদ তাঁরা ভারতে আসেন৷ তার পর থেকে সোনারপুরের বিভিন্ন এলাকায় থাকছিলেন তাঁরা৷ সকলেই একটি গেঞ্জি কারখানায় কাজ করতেন ৷ সেই সূত্র ধরেই তাঁরা একসঙ্গে থাকা শুরু করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে পুলিশ৷ এ দেশে এসে তাঁরা কোনও দুষ্কর্মে জড়িয়ে পড়েছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি৷

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement