Kultoli Tiger

দিনভর চলল লুকোচুরি, তবু অধরাই বাঘ

রবিবার সকালে এলাকায় বাঘের টাটকা পায়ের ছাপ মেলে। বনকর্মীরা বুঝতে পারেন, বাঘ এলাকা ছেড়ে যায়নি।

Advertisement

সমীরণ দাস 

কুলতলি  শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:২৭
Share:

গ্রাম ঘেরা হচ্ছে জাল দিয়ে। নিজস্ব চিত্র।

মৈপিঠের ভুবনেশ্বরীতে লোকালয়ের কাছে ঢুকে পড়া বাঘকে জঙ্গলে ফেরত পাঠাতে রবিবার দিনভর চেষ্টা চালালেন বনকর্মীরা। জাল দিয়ে ঘিরে, বাজি ফাটিয়ে বাঘ তাড়ানোর চেষ্টা হয়। পাতা হয় খাঁচা। তবে রাত পর্যন্ত তাতে ধরা দেয়নি দক্ষিণরায়।

Advertisement

শুক্রবার রাতে মৈপিঠ কোস্টাল থানার ভুবনেশ্বরী পঞ্চায়েতের গৌড়ের চক এলাকায় লোকালয়ের কাছে একটি ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে চলে আসে বাঘটি। রাতেই তার উপস্থিতি টের পান এলাকার লোকজন। শনিবার সকালে বিভিন্ন জায়গায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায়।

শনিবার সকাল থেকে বাঘের খোঁজ শুরু করে বন দফতর। বড় এলাকা জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলে। কিন্তু বাঘের দেখা মেলেনি।

Advertisement

নতুন কোনও পায়ের ছাপ না মেলায় বাঘটি গ্রামের কাছে আছে, না কি নদী পেরিয়ে মূল জঙ্গলে ঢুকে গিয়েছে— সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছেন না বন দফতরের আধিকারিকেরা।

রবিবার সকালে এলাকায় বাঘের টাটকা পায়ের ছাপ মেলে। বনকর্মীরা বুঝতে পারেন, বাঘ এলাকা ছেড়ে যায়নি। পায়ের ছাপ ও অন্য কিছু লক্ষণ দেখে কোন এলাকায় বাঘ আছে, তা আন্দাজ করেন বনকর্মীরা। এরপরে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় এলাকা। ক্রমশ বেড়া এগিয়ে এলাকা ছোট করতে করতে এগোতে থাকেন বনকর্মীরা।

দফতরের এক কর্মী জানান, নদী ও মূল জঙ্গলের পথ খোলা রেখে গ্রামের দিক থেকে বেড়া ছোট করে এগোন হয়। বাঘ স্বাভাবিক ভাবে নদীর পথ ধরে জঙ্গলে ফিরে যাবে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। বাঘ জায়গা ছাড়েনি। এরপরেই ভয় দেখিয়ে বাঘকে নদী পার করানোর পরিকল্পনা করা হয়।

বিকেল নাগাদ জালের বেড়ার বাইরে থেকে বাজি পটকা ফাটানো শুরু হয়। মুখেও আওয়াজ শুরু করেন বনকর্মীরা। পটকার আওয়াজে নড়েচড়ে বসে দক্ষিণরায়। বনকর্মীরা জানান, নদীর দিকে এগিয়েও যায় সে। কিন্তু পরে ফের পুরনো জায়গায় ফিরে আসে।

শেষ পর্যন্ত খাঁচা পেতে বাঘ ধরার পরিকল্পনা হয়। সন্ধে ৬টা নাগাদ খাঁচা আসে। ভিতরে ছাগলের টোপ দেওয়া হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগের বিভাগীয় বনাধিকারিক মিলন মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা বাঘটিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত খাঁচা পেতে ধরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘুমপাড়ানি গুলি চালানোর জন্য বনকর্মীরা প্রস্তুত আছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন