বাঁ দিক থেকে, জয়ের আনন্দ ও পরাজয়ের অস্বস্তি। —নিজস্ব চিত্র।
টাকি এবং বাদুড়িয়ায় তৃণমূলের পুরপ্রধানেরা জয়ী হলেও বসিরহাট পুরসভার পুরপ্রধান অতসী আন পরাজিত হলেন। বিজেপির সুবোধ নন্দীর কাছে ২৭৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন তিনি। মহকুমার তিনটি পুরসভায় তৃণমূল প্রার্থীরা ভাল ফল করেছে ঠিকই। কিন্তু বসিরহাট পুরসভায় পুরপ্রধানের পরাজয় এই ফলাফলের উপরে একটা বড় ধাক্কা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কয়েক মাস আগেই কংগ্রেসের পুরপ্রধান কৃষ্ণা মজুমদারকে অনাস্থায় পরাজিত করে বসিরহাট পুরসভার দখল নেয় তৃণমূল। পুরপ্রধান হন তৃণমূলের অতসী আন। এ বার তিনি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন। ওই ওয়ার্ডেই বিজেপি-র হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সুবোধ নন্দী, কংগ্রেস থেকে দাঁড়ান অরিন্দম ভট্টাচার্য এবং এসইউসিআই-র শিখা দাস।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এলাকায় উন্নয়ন এখনও অধরা। পানীয় জল, রাস্তা এবং নিকাশি বেহাল। সে কারণে ওই ওয়ার্ডের দখলকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে লড়াই রীতিমতো জমে উঠেছিল।
মঙ্গলবার ফলাফল প্রকাশের পরে দেখা যায় ১১২৬ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছে বিজেপির প্রার্থী। দ্বিতীয় তৃণমূল পেয়েছে ৮৪৭ ভোট। কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ৬০ এবং এসইউসি পেয়েছে ৩৩টি ভোট।
বসিরহাট মহকুমার তিনটি পুরসভার ৫৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল ৩০টি আসন পেয়েছে। টাকি পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় ১৫৮ ভোটে জয়ী হন। বাদুড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান দীপঙ্কর ভট্টাচার্য ৩৮৩ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। এ বিষয়ে দলের কেউ কেউ বলছেন, আসলে ওয়ার্ডের মানুষের সমস্যার বিষয়গুলি নিয়ে বিশেষ সময় দিতে না পারায় অতসীদেবী জয়ী হতে পারলেন না। এ বার দলে পুরপ্রধানের দাবিদার অনেকে। সে কারণেও তাঁকে হারানো হয়েছে বলে কারও কারও দাবি।
এ প্রসঙ্গে বসিরহাটের সাংসদ তথা তৃণমূল নেতা ইদ্রিশ আলি বলেন, ‘‘মানুষের রায় আমরা মাথা পেতে নেব। কোনও ভুল থাকলে তা শুধরে নিয়ে আগামী নির্বাচনে অতসীদেবী জয়ী হবেন। তবে দলীয় অর্ন্তঘাতের কিংবা ওয়ার্ডের মানুষের জন্য সময় দিতে না পারার অভিযোগ ঠিক নয়।’’
অতসীদেবী বলেন, ‘‘কাউন্সিলর থাকাকালীন নিজের ওয়ার্ডে এবং কয়েক মাস পুরপ্রধান থাকাকালীন পুরসভার অন্য ওয়ার্ডগুলিতে নিকাশি ব্যবস্থা, পানীয় জল ও রাস্তার সাধ্য মতো উন্নয়ন করেছি। এরপরে যদি হেরে যাই, কী আর বলব!’’
বিজেপি প্রার্থী সুবোধ নন্দী বলেন, ‘‘একজন হেভিওয়েট প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হওয়ায় আনন্দ হচ্ছে। পানীয় জল এবং নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন আগে করতে হবে।’’
বধূর দেহ উদ্ধার। এক বধূকে খুনের অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বাগদার পাঁচপোতা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম রূপসানা মণ্ডল (২৮)। ধৃতের নাম আসরাফুল মণ্ডল। নিহতের বাবা আনারুল জামাইয়ের নামে খুনের অভিযোগ করেন থানায়। বছর নয়েক আগে বাগদার দিয়ারা গ্রামের রুপসানার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই যুবকের। অভিযোগ, আরও পণের দাবিতে রুপসানাকে চাপ দেওয়া হত। যা নিয়ে সংসারে অশান্তি ছিল। তারই জেরে আসরাফুল স্ত্রীকে গলা টিপে খুন করে বলে অভিযোগ। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।