বনগাঁ-চাকদা সড়কের দু’ধারে দাঁড়িয়ে ট্রাক

দুর্ঘটনায় জখম ৪ পুলিশ

ফের বড়সড় পথ দুর্ঘটনা ঘটল বনগাঁ-চাকদা রাজ্য সড়কে। যা প্রশ্ন তুলে দিল এই সড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই। এমনিতে ছোটবড় দুর্ঘটনা প্রায় রোজই ঘটে বনগাঁ-বাগদা সড়কে। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। রবিবার ভোরে গোপালনগর থানার একটি গাড়ি ওই রাস্তা ধরে থানায় ফিরছিল।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র

বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৭ ০২:২৬
Share:

অপরিসর: দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক বাড়াচ্ছে দুর্ঘটনা। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

ফের বড়সড় পথ দুর্ঘটনা ঘটল বনগাঁ-চাকদা রাজ্য সড়কে। যা প্রশ্ন তুলে দিল এই সড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই।

Advertisement

এমনিতে ছোটবড় দুর্ঘটনা প্রায় রোজই ঘটে বনগাঁ-বাগদা সড়কে। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। রবিবার ভোরে গোপালনগর থানার একটি গাড়ি ওই রাস্তা ধরে থানায় ফিরছিল। বন্ধনবেড়িয়া বাজারের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একটি দশ চাকার ট্রাকে গাড়িটি ধাক্কা মারে। দুই পুলিশ অফিসার-সহ চারজন জখম হন।

২০১০ সালের আগে পর্যন্ত অপরিসর এই রাস্তায় ভারী ট্রাক সচরাচর চলত না। এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের টাকায় ঝাঁ চকচকে রাস্তা তৈরির পর থেকে যশোহর রোডের বদলে বহু পণ্যবাহী ট্রাক ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে এসে এই রাস্তা ধরে বনগাঁ শহরে ঢোকে। বনগাঁ শহর থেকে নদিয়ার চাকদা পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার রাস্তার ১৭ কিলোমিটার গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যে দিয়ে। মূলত এই অংশই দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠছে দিন দিন।

Advertisement

কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি?

চালক ও নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, রাস্তা জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা শ’য়ে শ’য়ে ট্রাকের সারি দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। রাস্তার কোনও কোনও অংশে কখনও সড়কের দু’পাশ জুড়ে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। রাস্তা অপরিসর হয়ে যায়। বহু বছর ধরে এলাকার মানুষ এই রাস্তায় বেআইনি ট্রাক পার্কিং বন্ধ করবার দাবি জানিয়ে এলেও তাঁদের অভিযোগ, নির্বিকার পুলিশ-প্রশাসন। ট্রাক সরানোর দাবিতে মানুষ পথ অবরোধ, বিক্ষোভ আন্দোলন করলেও কোনও সুরাহা হয়নি।

কিন্তু কেন রাস্তার ধার থেকে সরানো যাচ্ছে না ট্রাক?

সেটা আবার নির্ভর করছে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের গতিপ্রকৃতির উপরে। কি রকম?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন