মালয়েশিয়ায় কাজের নামে প্রতারণা, ধৃত ১ 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে বাগদার মধুপুর গ্রামের বাসিন্দা জুলফিকার আলি মণ্ডলকে মালেশিয়ায় মোটা বেতনের কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নেয় কবীর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোপালনগর শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৮ ১২:০৫
Share:

অপেক্ষা: চিন্তায় মা। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

বাগদার এক যুবককে বিদেশে মোটা বেতনের কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল। বৃহস্পতিবার রাতে গোপালনগর থানার পুলিশ কবীর হোসেন মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তিকে বৈরামপুর থেকে ধরে। কবীরের বাড়ি স্থানীয় সনেকপুরে। শুক্রবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ কবীরের এক সহযোগীকেও খু্ঁজছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে বাগদার মধুপুর গ্রামের বাসিন্দা জুলফিকার আলি মণ্ডলকে মালেশিয়ায় মোটা বেতনের কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নেয় কবীর। জুলফিকারকে তারা মালেশিয়ায় পাঠায়। কিন্তু অভিযোগ, ওই যুবককে সে দেশে বিক্রি করে দেওয়া হয়। তাকে সেখানে ভারী রড বহনের কাজ করানো হচ্ছে। ঠিক মতো খেতে দেওয়া হচ্ছে না। সম্প্রতি বাড়িতে ফোন করে সেই দুঃসহ পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন জুলফিকার। ছেলে কবে বাড়ি ফিরবে, তা নিয়ে চিন্তায় দিন কাটছে পরিবারের।

ছেলেকে ফিরিয়ে উদ্ধারের আর্জি নিয়ে রবিবার জুলফিকারের মা পুলিশের দ্বারস্থ হন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ সেপ্টেম্বর জুলফিকার ও তাঁর পরিবারের লোকজন কবীরের গোপালনগর বাজারের অফিসে গিয়ে ৭০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। জুলফিকারের মা জাহানারা বলেন, ‘‘ছেলে ফোন করে কাঁদতে কাঁদতে বলেছে, তাকে আটকে রাখা হয়েছে। খেতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী, হাতে-পায়ে চোট লাগলে চিকিৎসাও করানো হয়নি।’’

Advertisement

জাহানারা আরও জানান, ছেলের খোঁজ করতে তাঁরা কবীরের অফিসে গিয়েছিলেন। দেখা পাননি। সেখানে ছিল অন্য এক যুবক। অভিযোগ, সে জুলফিকারকে ফিরিয়ে আনতে আরও ৬২ হাজার টাকা চায়। যুবকের পরিবার জানিয়েছে, থানায় অভিযোগ জানানোর পর থেকে অভিযুক্তদের লোকজন তাদের উপরে নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বলছে। পুলিশি পদক্ষেপের পরে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। জুলফিকারের স্ত্রী নাজমার সঙ্গে বুধবার স্বামীর ফোনে কথাও হয়েছে। এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘দু’একদিনের মধ্যেই ওই যুবককে দেশে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন