প্রতীকী ছবি।
স্কুলের সহপাঠীরাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে আটকে দিল এক নাবালিকার বিয়ে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানার জাফরপুরের ঘোষপাড়ায়। ওই নাবালিকা স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। টানা কয়েক দিন সে স্কুলে না যাওয়ায় সহপাঠীরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, বুধবার তার বিয়ে। সে কথা শুনেই তারা এ দিন দুপুরে সোনারপুর থানার আইসি অসিতবরণ কুইল্যার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তার পরেই সোনারপুর ব্লক আধিকারিক ও পঞ্চায়েত সমিতির কাছে খবর পৌঁছয়।
এ দিন দুপুরেই ব্লক প্রশাসন ও পুলিশের একটি দল ওই নাবালিকার বাড়িতে যায়। জন্মের শংসাপত্র পরীক্ষা করে দেখা যায়, ওই ছাত্রীর বয়স ১৬ বছর। তার পরেই পুলিশ ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজনকে ডেকে জানিয়ে দেয়, এই বিয়ে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের কথায় বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হন ওই নাবালিকার পরিজনেরা। তাঁরা বলেন, ‘‘আপাতত বিয়ে স্থগিত রাখা হল। পাত্রকেও অনুরোধ করা হবে, যদি দু’বছর পরে তিনি বিয়ে করতে রাজি হন।’’ ওই ছাত্রীর মায়ের কথায়, ‘‘মেয়ের জন্য ঘুটিয়ারি শরিফের বাসিন্দা এক ভাল পাত্রের সন্ধান পেয়েছিলাম। তার বয়স ২৭ বছর। ভাল চাকরি করে। সেই কারণেই তাড়াতাড়ি বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।’’
পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের কর্তারা জানান, ওই পাত্রকে বছর দুয়েক অপেক্ষা করতে তাঁরাও অনুরোধ করবেন। ওই নাবালিকার সহপাঠীরা জানিয়েছে, তারা স্কুলে একটি কন্যাশ্রী ক্লাব খুলেছে। সেই ক্লাবের সদস্যেরা সকলেই কন্যাশ্রীপ্রাপ্ত ছাত্রী, সকলেই নাবালিকা বিয়ের বিরোধী। সেই কারণে যদি কোনও সহপাঠীকে তার বাড়ি থেকে বিয়ে দিতে চায়, তা হলে ওই ছাত্রীরাই বিডিও এবং পুলিশকে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানিয়ে দেবে।