জাতীয় সড়কের পাশে আবর্জনা

কোথাও পড়ে অনুষ্ঠান বাড়ির খাবারের উচ্ছিষ্ট। আবার কোথাও দেখা যাচ্ছে প্লাস্টিক ও আবর্জনা। তাতে মরা কুকুর-বিড়ালের দেহও পড়ে। দুর্গন্ধে টেঁকা দায়।৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক বা যশোর রোডের পাশ দিয়ে যাতায়াতের সময়ে রুমাল নাকে দিয়ে যেতে হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:০৮
Share:

পড়ে রয়েছে ময়লা। নিজস্ব চিত্র।

কোথাও পড়ে অনুষ্ঠান বাড়ির খাবারের উচ্ছিষ্ট। আবার কোথাও দেখা যাচ্ছে প্লাস্টিক ও আবর্জনা। তাতে মরা কুকুর-বিড়ালের দেহও পড়ে। দুর্গন্ধে টেঁকা দায়।

Advertisement

৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক বা যশোর রোডের পাশ দিয়ে যাতায়াতের সময়ে রুমাল নাকে দিয়ে যেতে হয়। জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ্য জ্যোতি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে বলে দেওয়া হয়েছে, সড়কের পাশে আবর্জনা দেখলে দ্রুত তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য। দূষণ যাতে না ছাড়ায় তার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’

বনগাঁর মহকুমাশাসক সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সড়কের পাশে নোংরা আবর্জনা কেউ ফেললে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার ধারে পড়ে থাকা আবর্জনা সাফ হয় না। সড়কের পাশের নয়ানজুলিও ভরে থাকে জঞ্জালে। ফলে বর্ষায় নয়ানজুলি দিয়ে জল বেরোতে পারে না। আবর্জনা ও জল জমে মশার উপদ্রব হয়। দিন কয়েক আগেই গাইঘাটার মণ্ডলপাড়ায় ডেঙ্গি ছড়িয়েছিল। সে সময়ে বার কয়েক ব্লিচিং, চুন ছড়ানো হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু তা-ও ওই আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়নি।

হাবরার পুরপ্রধান নীলিমেশ দাস বলেন, ‘‘মানুষকে বোঝানো হয়। ময়লা দেখলে পুরসভার পক্ষ থেকে তুলে আনা হয়। সড়কের পরিবেশ সুন্দর রাখাটা শুধু পুরসভার কাজ নয়। বাসিন্দাদেরও সচেতন হতে হবে।’’

ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বনগাঁ শহরের সম্পাদক চিকিৎসক আশিসকান্তি হীরা বলেন, ‘‘ওই সব নোংরা আবজর্নায় বিষাক্ত গ্যাস থাকে। তা পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ছে। দৃশ্য দূষণের পাশাপাশি যাঁদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাদের অসুবিধা হতে পারে।’’ বনগাঁর পরিবেশ কর্মী বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে এখনও সচেতনতার অভাব রয়েছে। সড়কটাকে আমরা নিজেদের মনে করি না। সে কারণেই এলাকা নোংরা করি। মানুষ সচেতন হলে পরিবেশেও দূষণ হবে না।’’

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বনগাঁ মহকুমার সহকারী বাস্তুকার জয়ন্ত চক্রবর্তী অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘সড়কের পাশে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করার মতো পরিকাঠামো আমাদের নেই।’’

গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ধ্যানেশ নারায়ণ গুহ জানান, পঞ্চায়েত থেকে সড়কের পাশে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট ভ্যাট রাখার ব্যবস্থা করা হবে। আশা করা যায় এরপর মানুষ আর রাস্তার পাশে ময়লা ফেলবেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন