ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর, মুখ ফাটল বালিকার 

হাসপাতালে তার নাকের উপরের ক্ষতস্থানে সেলাই করার পরে এখন বিধাননগরের বাড়িতে রয়েছে অদ্রিজা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৪৪
Share:

অদ্রিজার রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা সহযাত্রীদের। ফাইল চিত্র

মেয়েকে নিয়ে ট্রেনে করে বাড়ি ফিরছিলেন মা। তখনই রেললাইনের পাশ থেকে দুষ্কৃতীদের ছোড়া পাথরে মুখ ফাটল একরত্তি মেয়েটির। রবিবার সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার বামনগাছি ও দত্তপুকুর স্টেশনের মাঝে এই ঘটনা ঘটে। রেল পুলিশ জানিয়েছে, বছর সাতেকের আহত মেয়েটির নাম অদ্রিজা মজুমদার। সে অশোকনগর রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। পাথরের আঘাতে অল্পের জন্য তার চোখ রক্ষা পেয়েছে। তবে এখনও চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না সে। হাসপাতালে তার নাকের উপরের ক্ষতস্থানে সেলাই করার পরে এখন বিধাননগরের বাড়িতে রয়েছে অদ্রিজা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার বিধাননগরের বাপেরবাড়ি থেকে অশোকনগরের বিশ্বকবি রোডে শ্বশুরবাড়িতে ফিরছিলেন রমা মজুমদার। সঙ্গে ছিল কন্যা অদ্রিজা। সোমবার রমা বলেন, ‘‘জানালার পাশে বসেছিলাম। মেয়ে কোলে মাথা রেখে ঘুমোচ্ছিল।’’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বামনগাছি ও দত্তপুকুরের মাঝে হঠাৎই একটি পাথর এসে চলন্ত ট্রেনের দরজায় ধাক্কা খায়। তার পরেই সোজা এসে লাগে অদ্রিজার চোখের নিচে। নাক ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। সহযাত্রীরা কোনও রকমে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করেন। পাথরের ভয়ে কামরার দরজা-জানালাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পরে দত্তপুকুর স্টেশনে ট্রেন থামতে খবর পেয়ে রেল

পুলিশ এসে হাবরা হাসপাতালে ভর্তি করায় অদ্রিজাকে।

Advertisement

সোমবার বিধাননগরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় অদ্রিজাকে। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে কথা বলতে পারছে না সে। মা রমা বলেন, ‘‘মেয়ে এক চোখে দেখতে পাচ্ছে না। পাথরটা যদি সোজাসুজি গায়ে লাগত, তাহলে হয়তো ওকে বাঁচানো যেত না। কারা, কেন চলন্ত ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়বে?’’

নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, কয়েক বছর বন্ধ থাকার পরে ফের ওই এলাকায় ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া শুরু হয়েছে। কে বা কারা পাথর ছুড়েছে, তার তদন্তে নেমেছে রেল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন