বিয়ের প্রস্তাবে অরাজি, কীটনাশক খাইয়ে শ্বাসরোধ করে খুন নাবালিকাকে

অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল পাশের গ্রামের এক যুবক।

Advertisement

নির্মাল্য প্রামাণিক 

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:১২
Share:

অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল পাশের গ্রামের এক যুবক। অভিযোগ, মেয়েটি বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রথমে তাকে কীটনাশক খাওয়ায় ওই যুবক। তারপরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে। পালানোর সময়ে মেয়েটির মা ওই যুবককে দেখতে পেয়ে চিৎকার জুড়লে স্থানীয় মানুষজন ধরে ফেলে মারধর করে।

Advertisement

মঙ্গলবার বাগদা থানার বাঁশঘাটা গ্রামের এই ঘটনায় মারা গিয়েছে বছর পনেরোর সুনীতা মণ্ডল। আমডোব উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ত সে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কিছু দিন আগে স্কুলে যাওয়ার পথে পাশের হামকুড়া গ্রামের সুজন দাসের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সুজন কাঠমিস্ত্রির কাজ করে। মাঝে মাঝে বাইক নিয়ে বাঁশঘাটায় সুনীতার সঙ্গে দেখা করতে আসত সে।

সোমবার রাতে গ্রামে এক জলসায় দু’জনকে এক সঙ্গে দেখা গিয়েছিল বলে জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার সকালে সুনীতার বাবা অসীম মাঠে কাজে গিয়েছিলেন। মা ভারতীও কাজে বেরিয়ে যান। বেলা আড়াইটে নাগাদ ভারতী বাড়ি ফেরার সময়ে দূর থেকে দেখেন, অচেনা একটি ছেলে গামছা মুড়ি দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। ঘরে ঢুকে দেখেন, মেয়ে খাটে শুয়ে। ডাকাডাকি করলেও সাড়া না মেলায় কাছে গিয়ে দেখেন, গলায় গামছা পেঁচানো।

Advertisement

লোকজন ছুটে এসে সুজনকে তাড়া করে। পাশেই কোদালিয়া নদীর ঘাট, সেখানে একটি নৌকো বাঁধা ছিল। সুজন নৌকো চালিয়ে নদী পার হয়ে ও পাড়ে বাংলানি গ্রামে গিয়ে ওঠে। সেখানে চাষের জমিতে কয়েক জন কাজ করছিলেন। এ পাড়ের চিৎকার শুনে তাঁরাই ধরে ফেলেন সুজনকে। নৌকো করে তাকে এ পাড়ে আনা হয়। মারধর করা হয় তাকে। গ্রামবাসীরাই তাকে নিয়ে যান বাগদা হাসপাতালে। সেখান থেকে পাঠানো হয়েছে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে।

সুনীতার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে সুজনকে। ছেলেটির অবশ্য দাবি, তারা দু’জনে দু’জনকে ভালবাসত। বিয়ে করা সম্ভভ নয় জেনে দু’জনেই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে দু’জনে দু’জনের গলা টিপে ধরেছিল। পুলিশ এই দাবি খতিয়ে দেখছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement