চওড়া যশোর রোডে থাবা দখলদারদের

গাড়ির যাতায়াতে সুবিধার জন্য যশোর রোডের এয়ারপোর্ট থেকে বনগাঁ পর্যন্ত অংশের চওড়া করার কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই এয়ারপোর্ট থেকে দোলতলার আগে পর্যন্ত চার লেন হয়েছে।

Advertisement

অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৭ ১৩:৩৫
Share:

জবরদখল: রাস্তা জুড়ে ইমারতি দ্রব্য। ছবি: সুদীপ ঘোষ

গাড়ির যাতায়াতে সুবিধার জন্য যশোর রোডের এয়ারপোর্ট থেকে বনগাঁ পর্যন্ত অংশের চওড়া করার কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই এয়ারপোর্ট থেকে দোলতলার আগে পর্যন্ত চার লেন হয়েছে। অভিযোগ, নির্মাণসামগ্রী ও গাড়ি পার্কিং করতে ব্যবহার করা হচ্ছে সেই নতুন রাস্তা। ফলে যশোর রোডের যান-যন্ত্রণা থেকে রেহাই আজও দূর অস্ত্।

Advertisement

বিরাটির গৌরীপুরে কালিবাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, রাস্তার উপরে রয়েছে ইট-বালি-পাথরকুচি-মার্বেল। তার পাশেই রাখা গাড়ি এবং ট্যাক্সি। ফুটপাথের নতুন টালিতেও ইট-বালির স্তূপ। এর ঠিক উল্টো দিকে রয়েছে ট্র্যাফিক পোস্ট।

স্থানীয়দের কথায়, যাঁরা ইমারতির ব্যবসা করেন তাঁরাই এ ভাবে রাস্তায় নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখেন। ওই ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, ‘‘রাস্তার কাজ পুরো শেষ হয়নি। তাই রাখছি। পাশ দিয়ে গাড়ি যেতে তো কোনও সমস্যা হচ্ছে না!’’ স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত বালা বলেন, ‘‘মাঝ রাস্তা দিয়ে বড় গাড়ি যায় বলে এই বাই লেন দিয়ে মোটরবাইক নিয়ে যাতায়াত করছি। যে ভাবে বালি, পাথর পড়ে থাকে তাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তো থাকেই।’’

Advertisement

গৌরীপুর থেকে গঙ্গানগর কাটাখাল পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে রয়েছে অসংখ্য গ্যারাজ। সেই গ্যারাজের গাড়ি রাখা থাকে রাস্তাতেই। সেখানেই চলে গাড়ি মেরামতি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ সবের জন্যই কমছে না যানজট। এমনিতেই যানজটে বেহাল অবস্থা যশোর রোডের। বারাসত থেকে এয়ারপোর্ট ১ নম্বর গেট পর্যন্ত নয় কিলোমিটার পেরোতে লাগে এক ঘণ্টার বেশি। সেই সমস্যা মেটাতেই রাস্তা চওড়ার কাজ চলছে। শুরু হয়েছে মধ্যমগ্রাম আন্ডারপাসের কাজ। এই রাস্তার উপরে ৫টি রেল সেতুর উপরে তৈরি হবে উড়ালপুলও।

এলাকাবাসীর দাবি, রাস্তা চওড়া এবং আন্ডারপাস করার পাশাপাশি নজর দিতে হবে রাস্তা থেকে দখলদার উচ্ছেদ এবং যান নিয়ন্ত্রণে। তাঁদের অভিযোগ, যশোর রোডে একই লেন দিয়ে বিনা বাধায় চলে টোটো-অটো-রিকশা। এর ফলে দুর্ঘটনাও ঘটে প্রায়ই। এর মধ্যে নতুন রাস্তা এ ভাবে দখল হলে যানজট আরও বাড়বে।

কী করছে পুলিশ? রাস্তার উপরে জবরদখল এবং বেআইনি পার্কিং রুখতে নিয়মিত নজরদারি চালানো হয় বলে জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘তা সত্ত্বেও কোথাও কোথাও বেআইনি পার্কিং এবং জবরদখল হচ্ছে বলে অভিযোগ আসতে শুরু হয়েছে। তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে আইনের সাহায্য নিয়ে এগোনো হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন