Accident

পড়ুয়ার আঙুলের অংশ বাদ যাওয়ায় বিক্ষোভ স্কুলে 

ছাত্রের মা, খড়দহের বাসিন্দা সুস্মিতা সিংহের অভিযোগ, ‘‘ছেলের আঙুল কেটে বাদ চলে গেল স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে।সেখানে ওর চিকিৎসার বদলে শুধু ব্যান্ডেজ বেঁধে বসিয়ে বকাবকি করা হল।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২৩ ০৬:৫৯
Share:

—প্রতীকী ছবি।

পরীক্ষা দিতে গিয়ে ডান হাতের তর্জনীর উপরের অংশ বাদ চলে গেল ব্যারাকপুরের একটি ইংরেজিমাধ্যম স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়ার। ঘটনাটি শনিবার সকালে ঘটলেও মঙ্গলবার তা নিয়ে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকদের একাংশ। আজ, বুধবার সকালে এ বিষয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন বিদ্যাভবনের ইংরেজি মাধ্যম শাখা গোপাল গোবিন্দঅ্যাকাডেমির ওই পড়ুয়া এই ঘটনার জেরে এ দিন ছবি আঁকার পরীক্ষা দিতে পারেনি বলে জানান অভিভাবকেরা। একই সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে তাঁরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারী প্রধান শিক্ষিকার অপসারণ দাবি করেন।

অভিযোগ, গত শনিবার শারীরশিক্ষার পরীক্ষার মাঝে টিফিন চলাকালীন আদিত্য সিংহ নামে তৃতীয় শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে খেলতে যাওয়ার জন্য জোর করেছিল তার এক সহপাঠী। স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সেই সময়ে একটি টিনের উপরে হাত রেখেছিল আদিত্য। সহপাঠীর হ্যাঁচকা টানে সে ছিটকে এলে তার ডান হাতের তর্জনীর উপরের অংশ কেটে পড়ে যায়। ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোতে দেখে ভয় পেয়ে যায় বাকি পড়ুয়ারাও। অসহ্য যন্ত্রণায় আদিত্যকে কাঁদতে দেখে আঙুলে ব্যান্ডেজ বেঁধে বসিয়ে রাখার সময়ে তাকে চুপ করে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয় ও বকাবকি করা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

ওই ছাত্রের মা, খড়দহের বাসিন্দা সুস্মিতা সিংহের অভিযোগ, ‘‘ছেলের আঙুল কেটে বাদ চলে গেল স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে। সেখানে ওর চিকিৎসার বদলে শুধু ব্যান্ডেজ বেঁধে বসিয়ে বকাবকি করা হল। আমি না যাওয়া পর্যন্ত আদিত্য ওখানেই বসে ছিল।এর পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা হতবাক হয়ে যান আঙুলের উপরের অংশ নেই দেখে। এই গাফিলতির দায় কি স্কুল কর্তৃপক্ষের নয়?’’ স্কুলেরসেক্রেটারি স্বামী নিত্যরূপানন্দ বলেন, ‘‘দুর্ঘটনাটি বেদনাদায়ক। কিন্তু ক্ষো‌ভ-বিক্ষোভ না করে অভিভাবকদের মতামত শুনতেই বৈঠক ডেকেছি। টিনের চালে আঙুল কেটেছে ওই পড়ুয়ার। কেন ওওই জায়গাটি ধরেছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন