Rabindranth Tagore

Beacon Bunglow: চলছে রূপটান, পুজোর আগেই নতুন চেহারায় রবীন্দ্র-স্মৃতিমাখা বেকন বাংলো

সাহেবের কর্মকাণ্ড নিজের চোখে দেখতে বেকন বাংলোতে ছুটে এসেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোসাবা শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:৪৬
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

পর্যটকদের কাছে টানতে সেজে উঠবে রবীন্দ্র-স্মৃতি জড়ানো গোসাবার বেকন বাংলো। দীর্ঘদিন ধরেই সংস্কারের অভাবে বেহাল দশা এই বাংলোবাড়ির। তবে এ বার তার হাল ফিরবে। জরাজীর্ণ বাংলোর খোলনলচে পাল্টাতে রূপটান করা হবে বেকন বাংলোর।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই বাংলোর ভোল বদলাতে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায় সংস্কারের কাজ শেষ হলে এখান থেকেই বিদ্যাধরী নদীর সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকেরা।

স্থানীয় ইতিহাসবিদদের মতে, গোসাবায় জনবসতি গড়ে তোলার পিছনে হাত ছিল আদতে স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা স্যর ড্যানিয়েল হ্যামিল্টনের। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এই এলাকায় উন্নয়নের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল তাঁর হাত ধরেই। ১৯০৩-০৭ সালের মধ্যে এই এলাকার ঝোঁপজঙ্গল সাফ করে জনবসতি গড়ে উঠতে শুরু করে। সাহেবের কর্মকাণ্ড নিজের চোখে দেখতে ছুটে এসেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

Advertisement

বেকন বাংলোতে সেই তিরিশের দশকে পা পড়েছিল রবীন্দ্রনাথের। ১৯৩২ সালের ২৯ ডিসেম্বর (মতান্তরে ৩০ ডিসেম্বর) সাহেবের আতিথেয়তায় বিদ্যাধরী নদীর পাড়ে এই বাংলোতে দু’রাত কাটিয়েছিলেন তিনি।

স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিনের অযত্নে ক্রমশই জরাজীর্ণ হয়েছে বাংলোটি৷ আমপান এবং বুলবুলের মত ঘূর্ণিঝড়ের দাপটেও বাংলোটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রবীন্দ্র-স্মৃতিবিজড়িত এ বাংলো সংস্কারের জন্য বহু বার সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা৷ বছর কয়েক আগে বাংলো সংস্কারে উদ্যোগী হন গোসাবার বিডিও সৌরভ মিত্র। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে বাংলোর সংস্কারের জন্য অর্থ মঞ্জুর করে জেলা প্রশাসন। শুরু হয় সংস্কারের কাজ৷

প্রশাসন জানিয়েছে, কাঠের তৈরি এই বাংলোর সংস্কারের কাজ প্রায় শেষের মুখে। সাহেবের তৈরি মূল বাংলোর আদলেই গড়ে উঠবে নতুন বাংলোটি। বাংলোর সামনে একটি পার্ক তৈরি করা হবে। এর ভিতরের পুকুর সংস্কারের কাজও শুরু হয়েছে। পার্কে বসানো হবে রবীন্দ্রনাথ এবং হ্যামিল্টন সাহেবের মূর্তি। সঙ্গে রাখা হবে বাঘ, হরিণ ও অন্যান্য মূর্তিও। রবীন্দ্রনাথ এবং হ্যামিল্টন সাহেবের ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী, ছবি ও বই নিয়ে একটি সংগ্রহশালাও গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রশাসনের আশা, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসেই বেকন বাংলোর সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজ শেষ হবে। সৌরভ বলেন, “পুজোর আগেই বেকন বাংলোর সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজ শেষ হবে। ভবিষ্যতে গোসাবার পর্যটন মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিতে পারে রবীন্দ্র-স্মৃতিবিজড়িত এই বাংলো।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন