পঞ্চায়েতের কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়ে প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার দুপুরে আবারও প্রধানের পদে থেকে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম করতে চেয়ে নিজের পদত্যাগপত্র তুলে নিলেন কাঁঠালবেড়িয়া পঞ্চায়েতের প্রধান বুলা নাসরিন লস্কর।
তৃণমূল সূত্রের খবর, গত পঞ্চায়েত ভোটে ওই পঞ্চায়েতের ১৯টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের ছিল ১২টি আসন। আরএসপি জয়ী হয়েছিল ৭ টি আসনে। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে পঞ্চায়েত গঠন করে তৃণমূল। প্রধান হন বুলা। পরবর্তী সময়ে আরএসপির ৭ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। বিধানসভা ভোটের সময় থেকে বুলা ও তাঁর স্বামী স্থানীয় তৃণমূল নেতা আমান লস্করের সঙ্গে মতবিরোধ তৈরি হয় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মন্টু গাজির। মন্টু আবার গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত লস্করের অনুগামী বলেই পরিচিত। প্রধান ও তার স্বামী আবার বাসন্তীর বর্তমান বিধায়ক গোবিন্দ নস্করের অনুগামী।
সম্প্রতি ব্লক তৃণমূলের নেতাদের একাংশ তথ্য জানার অধিকার আইনে প্রধানের কাজকর্মের হিসেব জানতে চান। সেই মতো কয়েকজন সদস্য প্রধানকে অপসারণ করতে চেয়ে সোমবার অনাস্থা প্রস্তাব ব্লক অফিসে জমা দেন। এ দিকে, ওই দিনই দলের চাপে বুলা পঞ্চায়েতের কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি চেয়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর। এ দিন দলের একাংশের অনুরোধে পদত্যাগপত্র তুলে নিয়েছেন বলে তৃণমূলের একটি সূত্র দাবি করেছে।
তবে প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রধান ইস্তফাপত্র তুলে নিলেও তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব কেউ এখনও প্রত্যাহার করেনি। ফলে আগামী ১৯ তারিখ অনাস্থার উপরে ভোটাভুটির দিন ঠিক হবে।
বুলা বলেন, ‘‘এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে দলের একাংশের চাপে ইস্তফা দিয়েছিলাম। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, আরএসপি থেকে সদ্য দলে যোগ দেওয়া কিছু লোকজন আমার লোকজনের উপরে অত্যাচার শুরু করেছে। এলাকার মানুষের অনুরোধে আবার আমার পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নিলাম।’’ তাঁর দাবি, সম্প্রতি দলের এক নেতার তরফে তাঁর স্বামীকে বাসন্তী ব্লক যুব সভাপতি করার প্রস্তাব আসে। যা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলের বাসন্তী ব্লক সভাপতি। তারপরেই পদত্যাগ করতে চাপ দেওয়া হয় বুলাকে।
অভিযোগ উড়িয়ে মন্টু বলেন, ‘‘দলের মধ্যে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। প্রধানকে কেউ চাপ দেননি ইস্তফা দিতে। আসলে প্রধানের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ, দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগ উঠছিল। সে কারণেই পঞ্চায়েতের কয়েক জন সদস্য তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন।’’